BRAKING NEWS

সীমান্তে গরু পাচার তদন্তের জাল গুটিয়ে নিচ্ছে সিআইডি

কলকাতা, ২৫ মার্চ (হি. স.) : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গরু পাচার মামলায় দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডি তদন্ত চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পৃথক একটি তদন্ত চালাচ্ছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সেই তদন্ত গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বিএসএফ, পাচারকারীদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক শ্রেনীর আধিকারিক এবং এলাকার কিছু তৃণমূল নেতার যোগাযোগ মিলেছে। শনিবার সিআইডি সূত্রে এখবর জানা যায়।

সিআইডি-র দাবি, এই তদন্তে তাঁরা ৪১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ সীমান্তে ১৭৩৫টি গরুকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার মুনাফা কামিয়েছেন এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর বিষয় এটাই যে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত ও জড়িত ছিলেন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-’র কিছু আধিকারিক।

সিআইডি আধিকারিকেরা ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, রঘুনাথগঞ্জের ঘটনা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়া গরু হামেশাই পাচার হতো বাংলাদেশে আর তার বিনিময়ে এই বাহিনীর আধিকারিকেরা মোটা টাকা পেতেন পাচারকারীদের কাছ থেকে।

শুধু তাই নয়, এই পাচারকাণ্ডে বিএসএফ-এর পাশাপাশি পাচারকারীদের সঙ্গে রীতিমতো একটি অশুভ মুনাফা কামানোর আঁতাত গড়ে উঠেছিল রাজ্য পুলিশের এক শ্রেনীর আধিকারিক এবং অবশ্যই এলাকার কিছু তৃণমূলনেতার মধ্যে। কার্যত এই তিন আঁতাতেই চলত সেই পাচার।

তাঁরা এটাও জানতে পেরেছেন যে জঙ্গিপুর মহকুমায় কর্মরত কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ‘ম্যানেজ’ করে বাংলাদেশে গরু পাচারের কারবার চালাত এলাকারই কিছু গরু খোঁয়াড়ের মালিকেরা। এই সব খোঁয়াড় মালিকেরা বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়া গরুগুলিকে কিছুদিন নিজেদের কাছে খোঁয়াড়ে রেখে দিত। তারপর সেগুলিকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে বাংলাদেশে পাচার করে দিত। এবার এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে তাঁদের গ্রেফতার করার পথে হাঁটতে চলেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *