করিমগঞ্জ (অসম), ১৭ জানুয়ারি (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বদরপুর থানাধীন মাইজ-বাগারগুলে এডি ক্যাম্পের পুলিশ এবং ভিডিপি কর্মীদের হাতে পাচারের মুখে ধরা পড়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা। মাদক পাচারে ব্যবহৃত অল্টো গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ এক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ধৃতকে বদরপুরের সোমবারি বাজার এলাকার বাসিন্দা অল্টো-চালক বছর ৩৬-এর হাফিজ উদ্দিন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ধৃত পাচারকারীর অন্য সাঁকরেদরা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন অন্ধকারের সুযোগ নিযে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস সহ অন্য পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার পদ্মনাভ বরুয়া জানান, আজ মঙ্গলবার ভোররাতে বদরপুরের গৃহরক্ষী বাহিনীর অনুপম মালাকার ও জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশর দল মাইজ-বাগারগুল এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে টহল দিচ্ছিল। এক সময় এএস ১০ এ ৬৪৮৭ নম্বরের একটি অল্টো গাড়ির গতিরোধ করে তাতে তালাশি চালানো হয়। তালাশিতে ৭০টি প্যাকেটে প্রায় ৮৮ কিলোগ্রাম ওজনের সাড়ে সাত লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন অভিযানকারীরা। উদ্ধারকৃত নেশার ট্যাবলেট ইয়াবাগুলোর বাজারমূল্য অনুমানিক ৪০ কোটি টাকা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, চলতি বছরে অসমে এত বিপুল পরিমাণের মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম, জানান পুলিশ সুপার পদ্মনাভ বরুয়া।
তিনি জানান, আজ সকালে উদ্ধারকৃত মাদক ট্যাবলেট সহ ধৃত যুবককে জেলা সদর পুলিশের হাতে সমঝে দিয়েছে বদরপুর পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ধৃত হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সেস অ্যাক্ট, ১৯৮৫ (এনডিপিএস)-এর নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নেশাসামগ্রীগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করে কোথায় পৌঁছানোর মতলবে ছিল পাচারকারীরা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া হাফিজের অন্য সঙ্গী তথা মাদক ট্যাবলেটগুলির মূল পাচারকারীদের পরিচয় জানতে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তালাশি-অভিযান শুরু হয়েছে, জানান পুলিশ সুপার বরুয়া।