গঙ্গারামপুর, ২৯ নভেম্বর (হি. স.): উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে উদ্ধার হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের এক নার্সিং পড়ুয়ার নলিকাটা দেহ। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরে উদ্ধব সরকার নামে ওই পড়ুয়ার দেহ পৌঁছোতেই বন্ধু বিক্রম সরকারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্রমের বাড়ির সামনে উদ্ধবের দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গঙ্গারামপুর থানার যাদববাটি এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয় র্যা ফ।
২১ বছর বয়সি উদ্ধবের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার যাদববাটি বাটুলপাড়া এলাকায়। কৃষিজীবী পরিবারের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে উদ্ধবই সকলের বড়। বাবা দিলীপ সরকার ও মা তৃপ্তি বর্মন সরকার। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত উদ্ধব, বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর গঙ্গারামপুর কলেজে ভর্তি হয়। এবছর সে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। কলেজে পড়ার পাশাপাশি নার্সিং পড়ার সুযোগ পায় সে। ১ নভেম্বর অশোক নগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অধীনে নার্সিং কলেজে ভর্তি হয় সে। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। উদ্ধবের বাবা দিলীপ সরকার জানিয়েছেন, ছেলের মোবাইলে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে উদ্ধবের সঙ্গে থাকা সহপাঠীর পরিবারের সূত্রেই খবর পান উদ্ধবকে খুন করা হয়েছে। এদিকে, অশোকনগরের ওই বাড়িতে উদ্ধবের সঙ্গে গঙ্গারামপুরের বিক্রমও থাকত। উদ্ধবকে খুনের পেছনে বিক্রম জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। কারণ, রবিবার সকালে বিক্রম ঘরে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বিক্রমের তাড়াহুড়ো দেখে ওই বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর ঘরের তালা ভেঙে বিছানার নীচে উদ্ধবের নলিকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির মালিক।
এদিন উদ্ধবের দেহ পৌঁছোতেই বিক্রমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উদ্ধবের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে, ঘটনার আঁচ পেতেই গা ঢাকা দেয় বিক্রমের পরিবার। পলাতক বিক্রমও। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে গঙ্গারামপুর ও অশোকনগর থানার পুলিশ।