দুর্গাপুর, ২৬ নভেম্বর (হি. স.) ‘ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৃণমূল কাটমানির টাকা চাইলে, বিজেপির হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করবে। তারপর আবারও চোর ধরো জেলে ভরো আন্দোলন শুরু হবে।” শনিবার পান্ডবেশ্বরের ঝাঁঝরা কোলিয়ারী ময়দানের জনসভা থেকে এভাবে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসাদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তিনি পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের সৌজন্যের রাজনীতিকে কটাক্ষ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। জেলায় জেলায় দলীয় সাংসদ থেকে বিধায়ক ও দলের চিত্রাভিনেতারা জনসম্পর্ক ও জনসভা শুরু করেছে। কোথাও চা পে চর্চা। কোথায় খেলার মাধ্যমে। তার সঙ্গে জেলাভিত্তিক ইনডোর কর্মী বৈঠক করছেন গেরুয়া বিগ্রেড। সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী জেলা সফর শুরু করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় সভা করেছেন। শনিবার পান্ডবেশ্বর বিধানসভার ঝাঁঝরা কোলিয়ারী মাঠে ছিল তার জনসভা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসাদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,” গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে যেভাবে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাতে সকলে ভয়ে ছিল। তাই কেউ কারও খোঁজ নিতে পারেনি। এখন অবস্তার বদল হয়েছে। সবার খো্জ নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে এরকম হলে, দলীয় কর্মীদের পাশে অবশ্যই নেতৃত্ব ছুটে যাবে।”
উল্লেখ্য, বিজেপির সভার আগে রাত্রে আচমকায় মাঠ পরিদর্শনে যায় তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার ওই রাজনৈতিক সৌজন্যতাকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন,”এই বিধানসভা এলাকায় গত বিধানসভার ২ মের পর অনেক অত্যাচার করেছে। এখানের বিধায়ক বলেছে, বিজেপির যে পতাকা লাগাবে, তার হাত কেটে দেবে। তারপর আবার রাত্রে মাঠে এসে বলে গেছে কেউ যেন ডিস্টার্ব না করে। দুদিনের বৈরাগ্যী, ভাতকে বলে অন্ন।”
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দকুমার সমবায়ের মত বামেদের জোট প্রসঙ্গের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” মানুষ নিজের বুথে নিজেরা যা করার করে নেবে। জোটের পলিসি কিছু নেই। তৃণমূলের হার্মাদের হারনোর জন্য প্রতি বুথে আলাদা ফর্মুলা কাজ করবে।” সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য প্রায় ৮২৭ কোটি টাকা দিয়েছে। আর এই আবাস যোজনার কাটমানির বড় অভিযোগ উঠেছিল। কাটমানির নজরদারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” নজরদারির জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু হবে। বিজেপির বিধায়ক জেলা সভাপতির নম্বর হেল্প লাইন নম্বর। অভিযোগ পেলেই, আবারও চোর ধরো জেলে ভরো আন্দোলন চালু হবে।” ‘ডিসেম্বর’ ফ্যক্টর প্রসঙ্গ জিইয়ে তিনি বলেন,” ডিসেম্বরে শীত পড়ে। শীতকালে পিঠে ভাজা হয়। পিঠে খেলে পেটে সয়, কিম্বা পেটে খেলে পিঠে সয়। সময় আসলেই বুঝতে পারবেন।”