BRAKING NEWS

দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রাজ্যে ৬০ কোটি টাকার ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরীর কাজ এগিয়ে চলেছে : ক্রীড়ামন্ত্রী

আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ আগামী দিনগুলিতে আগরতলায় ন্যাশনাল গেমস আয়োজন করার লক্ষমাত্রা নিয়ে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এগিয়ে যাচ্ছে৷ বর্তমানে রাজ্যে ৬০ কোটি টাকার ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরীর কাজ এগিয়ে চলেছে৷ খুব শীঘই এইগুলির উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ আজ বাধারঘাটস্থিত দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন৷ তিনি বলেন, স্বপ দেখতে হবে, নতুবা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবেনা৷ মণিপুর, আসাম ন্যাশনাল গেমসের আয়োজন করতে পারলে ত্রিপুরা কেন পারবেনা? এখানে সবকিছু করাই সম্ভব৷ দীপা কর্মকার এক অন্যতম উদাহরণ৷ ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলিতে সরকারি চাকুরিতে ক্রীড়াবিদদের জন্য যাতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা যায় সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে৷ মহারাষ্ট্রের মত বিভিন্ন রাজ্যে এই সংরক্ষণ রাখার নজির রয়েছে৷ তিনি বলেন, আজ যে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেই মাঠটি ৬ মাসের মধ্যেই তৈরী হয়ে যাবে বলে মণিপুর ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সিইও কথা দিয়েছেন৷
অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে ্যস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরীর কাজ এবছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল৷ কয়েকদিন আগে এর উদ্বোধনও হয়ে গেছে৷ এ মাসের ৩০ তারিখ জিরানীয়ার এস এন কলোনীতে ্যস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে৷ খোয়াই এবং মোহনপুরের তুলাবাগানে আগামী এক মাসের মধ্যে ্যস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ বিলোনীয়ার বি কে আই-তেও এধরণের মাঠ তৈরীর কাজ প্রায় শেষের পথে৷ খুব শীঘই এরও উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পানিসাগরের আঞ্চলিক শারীরশিক্ষণ কেন্দ্রে সুুইমিংপুল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে৷ যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, নেশা আমাদের জীবন ও যৌবন সব শেষ করে দিচ্ছে৷ রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ যুব সমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে৷
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজমদার বলেন, রাজ্যের খেলাধুলার অঙ্গণে আজ এক নতুন ইতিহাস তৈরী হয়েছে৷ খেলাধূলার পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের বর্তমান সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে খেলোয়াড়দের তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে৷ স্বাগত ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, আজ যে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক মানের হবে৷ ৯৯.৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫৫ মিটার প্রস্থের এই মাঠটি তৈরী করতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা৷ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুুবিকাশ দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিমি মজমদার, আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস (দত্ত), ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা ও সোসাইটি ফর ম্যনেজমেন্ট অব কালচারেল কমপ্লেক্স’র চেয়ারম্যান কমল দে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *