BRAKING NEWS

হিজাব বিদ্রোহ : খোমেইনির বাড়ি জ্বালিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা

তেহরান, ৯ নভেম্বর (হি.স.) : হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ফুঁসছে ইরান। এবার আয়াতুল্লাহ খামেইনির পৈতৃক বাড়িত আগুন ধরালেন প্রতিবাদীরা। শুক্রবার গভীর রাতে খোমেইন শহরের প্রাক্তন শীর্ষনেতা আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমেইনির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন লাগার নানা ভিডিও। যদিও এই বাড়িটি খোমেইনির বাড়ি হলেও তিনি এখন ওই বাড়িতে থাকেন না। গত তিরিশ বছর ধরে সেটি একটি সংগ্রশালা হলেও এই বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ওই নেতা। জানা গিয়েছে, বাড়িটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। যদিও এক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, তেমন কিছু বড় হামলা এখানে হয়নি। কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন।

১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লব তুঙ্গে পৌঁছয়। সেই বিপ্লবের প্রধান ছিলেন খোমেইনিই। কিন্তু এবার ইরানে পরিবর্তনের হাওয়া। মোল্লাতন্ত্রের অবসান চাইছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। আর এই বিদ্রোহের সূত্রপাত বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেফতারের পরে অসুস্থ হন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ।

হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হচ্ছে সে দেশের সরকার। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলনের আঁচ কমার এতটুকু চিহ্ন নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিনিয়তই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *