নলহাটি, ৯ নভেম্বর (হি. স.) : ওভার ব্রীজ নতুন করে চালু করা হয়েছে। তাই রাখা হবে না রেলগেট। সেই যুক্তিতে নলহাটি করিমপুরের রেলগেট বন্ধ করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লো রেলপুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি যে, এই রেলগেট পেরিয়ে প্রাইমারি ও জুনিয়র গার্লস স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। এই রেলগেট থেকে কাছেই পড়ে স্কুল। তাছাড়াও এলাকায় তিনটে কবরস্থান আছে। মৃতদেহ দাফনের ক্ষেত্রে তাদেরও অসুবিধা হবে। তাছাড়াও ওভারব্রীজে নেই ফুটপাত। মাত্র দুটি গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে। এমতাবস্থায় তারা ঘুরপথে বাচ্চাদের কিভাবে ওভারব্রীজ দিয়ে পারাপার করবে। এমনিতেই যানবাহন চলাচলের ফলে দূর্ঘটনার কবলে পড়েন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, সাহেবগঞ্জ বর্ধমান লুপলাইনের এই শাখায় নলহাটি রেলস্টেশন একাধারে আজিমগঞ্জ ও পার্শবর্তী দুই রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই ভিড় ও যানযটের শিকার মানুষ। তার মাঝে শহরের মধ্য দিয়ে এই রেল লাইনে তিনটি রেলগেট পড়ে। রেল বর্তমানে তার মধ্যে করিমপুরের রেলগেট বন্ধ করতে উদ্যোগী। বুধবার নোটিশ জারি করে রেল গেট বন্ধ করতে আসে রেলপুলিশ। তাই আগাম জানতে পেরে করিমপুর, জগধরী ও পার্শবর্তী গ্রাম থেকে বিক্ষোভ দেখাতে লোকজন হাজির হন। তাদের দাবি সাধারণ মানুষ থেকে পড়ুয়াদের জন্য দশফুটের একটি গেট দরকার। করিমপুর লাগোয়া চৌদ্দ ও পনেরো নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারও হাজির হন সাধারণ মানুষের সাথে। ওই এলাকার কাউন্সিলার সুনীল লেট ও গোবর্ধন দাস জানান, এই রেলগেট বন্ধ হলে এলাকার সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। তাই প্রতিবাদে আমরা এলাকার মানুষের পাশেই আছি। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নলহাটি থানার পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভের সামনে তাদের পিছু হটতে হয়। রামপুরহাট আর পি এফ ইন্সপেক্টর রাজদীপ গায়েন বলেন, এলাকাবাসির বিক্ষোভের জন্য রেলগেট বন্ধ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী দিন ধার্য হলে নোটিশ জারি হবে।