করিমগঞ্জ (অসম), ৬ নভেম্বর (হি.স.) : মাঠজুড়ে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি দর্শক, উত্তেজনা, একের পর এক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ, বিপক্ষের রক্ষণ ভেদ। এক কথায় ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত পায়ের জাদু উপহার দিয়েছে উভয় দল। যদিও মালেগড় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলগ্রাম পিয়া ক্লাবের সঙ্গে খেলতে নেমে টুর্নামেন্টের শিরোপা দখল করেছে ভাঙা গোল ক্লাব।
অতিথি বরণ, পরিচিতি পর্ব, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন শেষে দু দলই মরিয়া হয়ে বিপক্ষের জাল কাঁপাতে চাইলে গোলশূন্য থাকে ম্যাচের প্রথমার্ধ। একের পর এক গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকলে একমাত্র দলগ্রাম পিয়া ক্লাবের ডিফেন্ডারের দারুণ প্রদর্শনের দরুন প্রথমার্ধে বিফল হয় ভাঙা গোল ক্লাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় নেমে গোল চাইই-চাই মনোভাব নিয়ে দুরন্ত হয়ে ওঠে তাঁরা। মিডফিল্ডার আলুর রংমাই দুর্দান্ত পাসের সুযোগ কাজে লাগায় মসেস রংমাই। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে মসেসের শটে প্রথম সাফল্য আসলে পাঁচ মিনিট পরেই আবার জাল কাঁপায় মিতো আলুর। দুই গোলের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালালে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় দলগ্রাম পিয়া ক্লাব।
শেষে ২-০ গোলে ভাঙা গোল ক্লাব জয়ী হলে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েঠে দলগ্রাম পিয়া ক্লাবকে। মালেগড় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট সেরার শিরোপা দখলে নেয় ভাঙা গোল ক্লাব।
ফাইনাল ম্যাচ পর্বে ভাঙা গোল ক্লাবের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি সহ নগদ ২০,০০০ টাকা এবং দলগ্রাম পিয়া ক্লাবকে রানার্স-আপ ট্রফি সহ নগদ ১০,০০০ হাজার টাকা তুলে দেন লাতু ফুটবল কমিটির কর্মকর্তা সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন ভাঙার আলুর রংমাই এবং টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ভাঙার গলডেন সন রংমাই।
লাতু মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের খেলার মাঠে লাতু ফুটবল কমিটির সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পৌরোহিত্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি অমলেশ চৌধুরী, অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ৩৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের তেশুয়া বিওপি কোম্পানি কমান্ডার আজাদ সিং, এআইইউডিএফ নেতা সাহাবুল ইসলাম চৌধুরী, আলা উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্যা প্রতিনিধি বজলুল হক চৌধুরী, আইনজীবী হাসিনা রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড কমিশনার পার্থপ্রতিম নাথ প্রমুখ।
গ্রামীণ ফুটবল আয়োজনে সীমান্ত এলাকার যুবাদের উৎসাহিত করতে ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে লাতুর মাঠে স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যের পক্ষ থেকে ফের ফুটবলের অন্য একটি টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেফারি মৃণালকান্তি দাস, সহকারী হিসাবে ছিলেন সৌমিত্র দাস এবং বিপ্লব দাস। চতুর্থ রেফারির দায়িত্ব সামলান বিশ্বজিৎ দাস। ভাষ্যকার ছিলেন যথাক্রমে নজরুল ইসলাম, অনুপ চন্দ এবং রাহুল চন্দ।