BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : কৃষিমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ নভেম্বর৷৷ ভারতের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত৷ তাই ভারতের অর্থনীতিকে যদি শক্তিশালী করতে হয় তাহলে গ্রামীণ এলাকার মানুষের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে৷ আজ পানিসাগরে কৃষক বন্ধ কেন্দ্রের দ্বারোদঘাটন ও কৃষকদের মধ্যে আলুর বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করে একথাগুলি বলেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষকদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ, শৌচালয়ের ব্যবস্থা, পানীয়জলের সংযোগ, রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা সহ নানাবিধ প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষককে কিষাণ সম্মাননিধির আওতায় আনা হয়েছে এবং বছরে ৬ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে৷ রাজ্যেও কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমার মাধ্যমে সাহায্য পাচ্ছেন৷ কৃষকদের ফসল বাজারজাত করার বিষয়েও সরকারের প্রতিনিয়ত নজর রয়েছে৷ কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে ত্রিপুরার কৃষকদের দ্বারা উৎপাদিত ক্যইন আনারস বিদেশে পাঠানো হয়েছে৷ যার ফলে কৃষকদের মধ্যে আনারস চাষের উৎসাহ বেড়েছে এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন৷ এছাড়া রাজ্যের উৎপাদিত কাঁঠাল ও লেবু রাজ্যের বাইরে বিদেশে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন৷ বর্তমান সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছে৷ আগের বছর যেখানে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ১৯.৪০ টাকা দরে ক্রয় করা হতো বর্তমান তা বাড়িয়ে ২০.৪০ টাকা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের কাজের সুুবিধার্থে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় চালু করছে৷ উদয়পুরের টেপানিয়াতে সম্পর্ণ মহিলা পরিচালিত কৃষি তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় চালু করা হয়েছে৷ বর্তমান সরকার প্রতি ঘরে সুুশাসন অভিযানের মাধ্যমে গ্রামস্তর থেকে ব্লকস্তর প্রতিটি স্থানে সুুশাসন মেলার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সমস্ত পরিষেবা সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করার জন্য চেষ্টা করে চলছে৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিধায়ক মলিনা দেবনাথ বলেন, কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা৷ কৃষকদের সার্বিক উন্নতি ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ দাস৷ পানিসাগর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস, উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজল দাস, এডিএম এল দার্লং, পানিসাগর মহকুমার মহকুমা শাসক রজত পন্থ প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে উত্তর ত্রিপুরা জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার ৪০০ জন কৃষকদের মধ্যে আলুর বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়৷ উল্লেখ্য, আজ সকালে পানিসাগর কৃষক বন্ধ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি আধিকারিকের কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে দ্বারোদঘাটন করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস, বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, পানিসাগর মহকুমার মহকুমা শাসক রজত পন্থ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ দাস প্রমুখ৷ এই কৃষক বন্ধ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৫.০৮ লক্ষ টাকা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *