কলকাতা, ২১ অক্টোবর (হি.স.): কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে বুধবারই শনাক্ত করা হয়েছে ইকবাল হোসেন নামের এক যুবককে।
বৃহস্পতিবার নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন টুইটে লিখেছেন, “বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সিসিটিভি দেখেছেন এবং জানতেন একজন মুসলমান হনুমানের উরুতে কুরআন রেখেছে। সারা দেশে সহিংসতা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও জাতীয় ঘোষণা করা হয়নি যে ‘‘অপরাধ‘ মুসলমানরা করেছে, হিন্দুরা নয়। সরকার সহিংসতা বন্ধ করতে পারত।“
এই ইকবালকে গ্রেফতারে গত কয়েক দিন ধরে চলছে জোর অভিযান। ইকবালের সহযোগী হিসেবে অন্তত চারজন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করছে, ইকবাল গ্রেফতার হলেই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।