কলকাতা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য। ইতিমধ্যেই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করছে ফরেনসিক টিম ও গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদতে জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি বিবাদের জেরেই গড়িয়াহাটে খুন করা হয়েছে পৌঢ়কে, কিন্তু তাঁর গাড়ির চালক কেন খুন হলেন তা জানা যায়নি। কার কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তা জানতে, কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় মৃত প্রৌঢ়ের মোবাইলের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখছে পুলিশ।গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে অবস্থিত বাড়ির মধ্যে থেকে সুবীর চাকি (৬১) ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল (৬৫)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুবীর নিউটাউনে থাকতেন। রবিবার বিকেলে তিনি গড়িয়াহাটের বাড়িতে যান। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট থানাতেও। খবর পেয়ে পুলিশ সেই বাড়িতে গিয়ে দেখে, দোতলায় সুবীরের দেহ পড়ে রয়েছে। চার দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। রবীনের দেহ পড়েছিল তিন তলায়। দু’জনেরই গলা, কব্জি ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
খুনের কিনারায় মঙ্গলবার লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা স্নিফার ডগ নিয়ে আসেন ঘটনাস্থলে। স্নিফার ডগ বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে যায়। স্নিফার ডগ নির্দেশ করে বালিগঞ্জ স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মের দিকে। খুনের পর আততায়ীরা ট্রেনে করে পালিয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।