Assailants beat TSR jawans : টিএসআর জওয়ানকে পিটিয়ে ঘায়েল করে বুক উঁচিয়ে ঘুরছে হামলাকারীরা, পুলিশের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৭ অক্টোবর৷৷ বর্তমান সমাজে আমরা বরাই করে বলি আমরা আধুনিক৷ কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করলে বুঝা যায় যে এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু মানুষের আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি৷ এবার নিজ বাবাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানার দারস্থ হচ্ছে অসহায় মেয়ে৷ কিন্তু বিশালগড় থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে৷ যার ফলে একপ্রকার কান্নায় ভেঙে পড়ে অসহায় মেয়ে৷


খবরে প্রকাশ বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব চলাকালীন অর্থাৎ নবমীর দুপুরে একদল যুবকের দ্বারা নির্মম মারধরের শিকার হয় বিশালগড় মহকুমার গকুলনগরস্থিত টি এস আরের প্রথম ব্যাটিলিয়ানে কর্মরত গোলটিলা এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর বিশ্বাস৷ জানা যায় গত ১৪ ই অক্টোবর অর্থাৎ নবমীর দুপুরে শঙ্কর বিশ্বাস দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে মদ্যপান করে টি এস আর প্রথম ব্যাটিলিয়ান সংলগ্ণ বাজারে আসলে, উক্ত বাজারে থাকা জয়ন্ত মালাকার, প্রশান্ত মালাকার এবং দ্বীপ মালাকার হঠাৎ করে শঙ্কর বিশ্বাসের উপর চড়াও হয়ে নির্মম ভাবে মারধর করতে থাকে৷ একটা পর্যায়ে মারধর এতটা বাড়তে থাকে যে শঙ্কর বিশ্বাস ওই অভিযুক্ত যুবকেদের অনেক কাকতী মিনতি করে৷


কিন্তু অভিযুক্ত যুবকেরা বেধরক মারধর করে শঙ্কর বিশ্বাসকে৷ পরবর্তীতে খবর যায় আহত শঙ্কর বিশ্বাসের বাড়িতে৷ তারপর উনার বাড়ির লোকেরা ছুটে এসে আহত শঙ্কর বিশ্বাসকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে৷ কিন্তু নবমীর বিকালেই উনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত শঙ্কর বিশ্বাসকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয় রাজধানীর জিবি হাসপাতালে৷ এদিকে উক্ত ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৪ ই অক্টোবর আহত শঙ্কর বিশ্বাসের পরিবারের লোকেরা অভিযুক্ত জয়ন্ত মালাকার, প্রশান্ত মালাকার এবং দ্বীপ মালাকারের নাম ধাম দিয়ে বিশালগড় থানায় মামলা করে৷ কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ঘটনার ৩ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিশালগড় থানার পুলিশ অভিযুক্তদের এখনো আটক করেনি৷ দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আক্রান্ত শঙ্কর বিশ্বাস এর মেয়ে থানার দ্বারস্থ হলেও বিশালগড় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ বাবুরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে৷ রবিবার শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধির দারস্থ হয়ে বিশালগড় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ বাবুদের বিরুদ্ধে একপ্রকার ক্ষোভ উগ্রে দিলেন আক্রান্ত শঙ্কর বিশ্বাসের মেয়ে৷ অভিযোগ ঘটনার ৩ দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ অন্যদিকে আক্রান্ত শঙ্কর বিশ্বাস এর মেয়ে জানায় যে তার বাবা শঙ্কর বিশ্বাস বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে৷


অন্যদিকে উনার মেয়ে আরো জানায় যে এই ব্যাপারে টি এস আর এর প্রথম ব্যাটিলিয়নের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সাহায্য পায়নি তারা৷ যার ফলে একপ্রকার হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে অসহায় শঙ্কর বিশ্বাসের পরিবার৷ আক্রান্ত শঙ্কর বিশ্বাসের পরিবারের দাবী দোষীদের যেনো আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়৷ তবে খবর লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি বিশালগড় থানার পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *