নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর (হি.স) : কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিক্ষুব্ধ ২৩ নেতাদের উদ্দেশে করা বার্তা দিলেন দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কার্যকরী সমিতির বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে সনিয়া বলেন, আমি বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে চেয়েছি। কারোর নাম না করলেও সনিয়ার এই বক্তব্য বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেই দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ দ্রুত বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়ে সনিয়াকে সম্প্রতি একটি চিঠিও লিখেছিলেন।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ভরাডুবির পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়া গান্ধী। কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো বিক্ষুব্ধ নেতারা সভাপতি হিসেবে স্থায়ী কাউকে চেয়ে বার বার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন।
আজ শনিবার কার্যকরী সমিতির বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে তাঁদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন সনিয়া। সূত্রের খবর, নেত্রীর এমন কড়া মনোভাব আঁচ করে সুর নরম করেন বিক্ষুব্ধরা। গুলাম নবি আজাদ বলেন, সনিয়া গান্ধীজির প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং কেউই তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না।
২০২২-এ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে সনিয়া বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে। নিঃসন্দেহে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু যদি আমরা সংঘবদ্ধ থাকি এবং এককভাবে দলের স্বার্থে মনোনিবেশ করি, তাহলে আমি নিশ্চিত যে আমরা ভাল করব। দলগত ঐক্য নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী। সনিয়া বলেন, দলের সকলেই কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন চায়। তবে সেজন্য সবার আগে প্রয়োজন দলগত ঐক্য। দলের প্রয়োজনীয়তাকেই অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এর জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা।