‘হিন্দু সংহতি’-র আহ্বাণে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিযান

কলকাতা, ১৬ অক্টোবর (হি. স.) : হিন্দু সংহতি-র আহ্বাণে আগামী ২০শে অক্টোবর বুধবার, বেলা ১১টায় বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

কালো প্রেক্ষাপটের পোস্টারে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিযান। নোয়াখালি দিবসে কলকাতা চলো।“

প্রসঙ্গত, নোয়াখালি দিবস সম্পর্কে প্রকাশ চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, “১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন। নোয়াখালীর হিন্দুরা বাড়িতে পূজার আয়োজনে ব্যস্ত। অন্যদিকে মুসলিম লীগ নেতা-কর্মীরা প্রচার করে যে, শিখ সম্প্রদায় দিয়ারা শরীফ আক্রমণ করেছে।গুজবের ফলে আশে পাশের এলাকার মুসলিমরা দলে দলে দিয়ারা শরিফে জড় হয়। গোলাম সরোয়ার হুসেনি সমবেত মুসলিমদেরকে সাহাপুর বাজার আক্রমণ করতে নির্দেশ দেয়। কাশেম নামের আরেকজন মুসলিম লীগ নেতাও তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে সাহাপুর বাজারে পৌঁছায়, যাদেরকে কাশেমের ফৌজ বলা হত।

কাশেমের ফৌজ নারায়ণপুর থেকে সুরেন্দ্রনাথ বসুর ‘জামিনদার অফিসের’ দিকে এগিয়ে যায়। কল্যাননগর থেকে আসা আরেকদল দাঙ্গাবাজ মুসলিম দল কাশেমের ফৌজের সাথে যোগ দেয়। এদের সাথে আরও অনেক ভাড়া করে আনা মুসলিম গুণ্ডারা জামিনদার অফিসে আক্রমণ করে। সামান্য প্রতিরোধের পরই সুরেন্দ্রনাথ বসু ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন। মুসলিম জনতা হাত-পা বেধে তাকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।সুরেন্দ্রনাথ বসুকে মুসলিমরা আক্রমণ করেছে শুনতে পেয়ে পাশের পাঁচঘরিয়া গ্রামের ডাক্তার রাজকুমার পাল তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু পথিমধ্যে তাকে মুসলিম দুর্বৃত্তরা ছুরিকাহত করে।“ এভাবে ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালির দাঙা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *