আগরতলা, ৬ অক্টোবর (হি. স.) : উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে দ্রুত গতিতে উন্নয়নের দীশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরা। আজ উপ রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে এ-বিষয়ে অবগত করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর দাবি, ত্রিপুরা আয়তনে ছোট, কিন্ত ত্রিপুরাবাসীর মন অনেক বড়। সাথে তিনি দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, করোনার প্রকোপে দেড় বছর উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি হলেও, ত্রিপুরা থেমে থাকেনি। মানুষের বার্ষিক বৃদ্ধির সাথে কৃষকদেরও আয় বেড়েছে। এদিন তিনি উপ রাষ্ট্রপতির বর্ণময় কর্মজীবনের বর্ণনা দিয়ে দাবি করেন, অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌছানোর আপনার স্বপ্ন সত্যি করার পথেই চলেছে ত্রিপুরা সরকার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা স্মার্ট সিটি প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর অবদান অসীম। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় আগরতলা স্মার্ট সিটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে। ২০১৬ সালে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে আগরতলাকে স্মার্ট সিটির অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি। ফলে, আজ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওই প্রকল্পে আগরতলা প্রথম স্থানে রয়েছে। এই অঞ্চলের একমাত্র ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সিস্টেম ত্রিপুরায় গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
আজ মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, করোনার প্রকোপে দেড় বছর উন্নয়ন কাজে বাধা তৈরী হয়েছিল। কিন্ত, ত্রিপুরা থেমে থাকেনি, প্রত্যয়ের সুরে বলেন তিনি। তাঁর দাবি, বাম আমলে মানুষের গড় আয় ছিল ১ লক্ষ ৪৪৪ টাকা। যা এখন বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধিতেও বর্তমান সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। কারণ, বাম আমলে কৃষকের মাসিক আয় ছিল ৬৮৮০ টাকা। এখন ওই আয় বেড়ে হয়েছে ১১০৯৩ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জোর গলায় বলেন, জীবিকা নির্বাহে সরলীকরণে ত্রিপুরা সর্বাগ্রে রয়েছে। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরায় উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা আয়তনে ছোট ঠিকই, কিন্ত ত্রিপুরাবাসীর মন অনেক বড়।
তিনি বলেন, হাজারো প্রতিকুলতা সত্ত্বেও কোভিড মোকাবিলায় ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে তিন গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রিপুরায় বর্তমানে করোনার সংক্রমণের নেমে দাঁড়িয়েছে ০.২৯ শতাংশে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, অতীতে ত্রিপুরা অনেক পেছনে ছিল। কিন্ত, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দীশায় অনেক এগিয়ে গেছে। জনজাতিদের তৈরী রিশা আজ দেশের সাথে আন্তর্জাতিক বাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে। আনারস, কাঠাল, লেবু দেশীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় রিশা কিংবা বাঁশের বোতল তৈরী করার শিল্পী আগেও ছিলেন। আনারস, কাঠাল, লেবু আগেও উত্পাদিত হয়েছে। কিন্ত, তার পরিচিতি ছিল না। ফলে, রোজগার বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাও ছিল না। এদিন তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে ২.৪ শতাংশ ত্রিপুরাবাসীর ঘরে পানীয় জল পৌছানো সম্ভব হয়েছিল। অথচ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ৩৪ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌছে গেছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের পাশে রয়েছে। কারণ, অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারকে পৌছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছি। সেই লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছি।
2021-10-06

