নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল৷৷ ত্রিপুরা পুলিশ ও আসাম পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল অপহৃত নাবালিকা কন্যা৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত প্রায় দেড় বৎসর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মনগর শহরের কলেজ রোডের বাসিন্দা বিশ্ব দেবনাথের পরিচয় হয় আসামের কামরূপ জেলার হাবিগঞ্জ থানাধীন এলাকার এক নাবালিকা কন্যার সাথে৷
তারপর ফেসবুকের মাধ্যমেই চলতে থাকে ভালোবাসা বিনিময়৷জানা যায় এই অনলাইন সম্পর্ক চলাকালীন দেড় বছরের মধ্যে তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয় মাত্র দুই দিন৷যা নিজের মুখে স্বীকার করল অভিযুক্ত৷ ধর্মনগরের কলেজ রোডের বাসিন্দা বিশ্ব দেবনাথ৷ সে কর্মসূত্রে বহুদিন যাবত ব্যাঙ্গালোরে ছিল৷ওইখান থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে শুরু হয় ওদের ভালোবাসা৷সেই নাবালিকা মেয়ের সাথে ভালোবাসা পরিণত হয় বৈবাহিক সম্পর্কে৷গত চার দিন আগে অভিযুক্ত বিশ্ব দেবনাথ ধর্মনগর থেকে আসামে গোহাটির কামরূপ জেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় মেয়েটিকে ধর্মনগরে নিয়ে আসার জন্য৷
অনলাইন সম্পর্কের জেরে অবুঝ নাবালিকা মেয়ে চলে আসে ওই ছেলের সাথে৷নাবালিকা মেয়ের মার বক্তব্য অনুযায়ী গত চারদিন আগে ভোরবেলা ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সেই নাবালিকা কন্যা৷তারপর আর ঘরে ফিরে আসেনি৷শুরু হয় খোজাখুজি৷তার পর বাধ্য হয়ে মেয়ের পরিবারের পক্ষষ থেকে আসামের কামরুপ জেলার হাবিগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়৷মেয়ের মা আরও জানান যে ধর্মনগরের একটি ছেলের সাথে উনার মেয়ের কথা হতো৷সেই সূত্র ধরেই আসাম পুলিশ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়৷এবং ধর্মনগর থানার এ এস আই বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে অভিযুক্ত বিশ্বজিত দেবনাথকে আটক করতে সক্ষম হয়৷ মঙ্গলবার অভিজুক্তকে ধর্মনগরনগর আদালতে সোপর্দ করা হয়৷