নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর (হি.স.) : দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারস্থ হলেন ’৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসায় দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। শনিবার দেশের শীর্ষ আদালতে আপিল জানিয়েছেন তিনি।
শিখ বিরোধী হিংসায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমারকে সম্প্রতি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় সজ্জন কুমারকে। আত্মসমর্পণের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্টে শুক্রবার আর্জি জানান তিনি। আর্জিতে তিনি জানিয়েছিলেন, পারিবারিক দায়-দায়িত্ব, সম্পত্তি বন্টন এবং উত্তরাধিকারে সমস্যার সমাধানের জন্য বাড়তি আরও ৩০ দিন দরকার। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর এই আর্জি খারিজ করে দেয়। এই খারিজের প্রতিবাদে এদিন সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন তিনি।
প্রসঙ্গত, শিখ-বিরোধী হিংসায় (১৯৮৪) গত সোমবার দোষীসাব্যস্ত হন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার| ওইদিন ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী হিংসায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে দোষীসাব্যস্ত করে দিল্লি হাইকোর্ট| সজ্জন কুমারকে এদিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে| পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে সজ্জন কুমারকে| এর আগে ট্রায়াল কোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস হয়েছিলেন সজ্জন কুমার| সেই রায়কে সোমবার খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিচারপতি বিনোদ গোয়েলের ডিভিশন বেঞ্চ| এদিনের রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘১৯৪৭ সালে, দেশভাগের সময় বহু মানুষকে হত্যা করা হয়| ৩৭ বছর পর একইরকম ট্রাজেডির সাক্ষী থেকেছে দিল্লি| অভিযুক্ত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করেছে|’