BRAKING NEWS

পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত সিপিএম

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট ৷৷ রাজ্যের অগণতান্ত্রিক পরিবেশে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে গভীর চিন্তা ব্যক্ত করেছে সিপিএম৷ দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের কথায়, সন্ত্রাস বন্ধই হচ্ছে না, বরং দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ এখনো সিপিএম নেতা, কর্মীদের উপর হামলা হুজ্জুতির ঘটনা ঘটছে৷ শুধু তাই নয়, জোর করে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগে বাধ্য করার পর উপ-নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীদের আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে বিজনবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের কাছে উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন৷

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের বক্তব্য, রাজ্যে গণতান্ত্রিক কর্মধারার পরিবেশ নেই৷ সারা রাজ্যেই দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীরা ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছেন৷ নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস এখনো একই কায়দায় চলছে৷ তাঁর কথায়, ধারণা করা হয়েছিল সন্ত্রাসের মাত্রা দিনে দিনে কমবে৷ কিন্তু, তার উল্টোটাই হচ্ছে৷ সন্ত্রাস বন্ধ হওয়ার বদলে বেড়ে চলেছে৷

এবিষয়ে তিনি কিছু তথ্য তুলে ধরে বলেন, সিপাহীজলা, শান্তিরবাজার, জিরানীয়া, জম্পুইজলা, মোহনপুর, কমলপুর এই সব এলাকায় সিপিএম কার্যালয় জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর অভিযোগ, গতকাল এবং আজ পার্টির নেতা-কর্মীদের উপর বিজেপি কর্মীরা আক্রমন চালিয়েছে৷ গন্ডাছড়া, কৈলাসহর, বাগমা, বিলোনীয়া, রাজনগর, শান্তিরবাজার এবং ধর্মনগরে দু’দিনে সিপিএম নেতাদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে৷ ধর্মনগরে দলের অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয়ে বলপূর্বক তালা লাগানো হয়েছে৷ এই সমস্ত ঘটনায় বিজন ধর উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরিকল্পনাতেই রাজ্যে ঘটনাগুলি সংগঠিত হচ্ছে৷ তাই তিনি ওই ঘটনাগুলির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ সাথে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন৷  তাঁর কথায়, যতদিন যাচ্ছে পুলিশ ততই দলদাসে পরিণত হচ্ছে৷

রাজ্যের পরিস্থিতি অস্থির দাবি করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উপনির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠভাবে আদৌ সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ বিজন ধরের কথায়, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ কিন্তু, অধিকাংশ আসনই অস্বাভাবিকভাবে খালি হয়েছে৷ নতুন সরকার গঠন হওয়ার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কেউই পদত্যাগ দেননি৷ তাঁর বক্তব্য, জেলা পরিষদের ১৮টি শূণ্য আসনে ১৬টি আসনই স্বাভাবিকভাবে খালি হয়নি৷ তেমনি, পঞ্চায়েত সমিতির ১৬১টি শূণ্য আসনে ১৫৫টি আসনে অস্বাভাবিকভাবে খালি হয়েছে৷ একই পরিস্থিতি গ্রাম পঞ্চায়েতেও৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২০৭টি শূণ্য আসনে ৩১৪৮টি আসন অস্বাভাবিকভাবে খালি হয়েছে৷ বিজন ধরের দাবি, এরকম অগণতান্ত্রিক পরিবেশে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন কোনভাবেই সম্ভব নয়৷ তাই, রাজ্য নির্বাচন দপ্তর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার সবরকম প্রস্তুতি নিক, দাবি জানান বিজন ধর৷

এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে এখন খাদ্যের অভাবের পাশাপাশি গণতন্ত্রও ধবংস হয়ে যাচ্ছে৷ আগামী দিনে মিছিল করার, এমনকি ভোট দেওয়ারও অধিকার থাকবে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *