BRAKING NEWS

বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে চাঁদের হাট, বাংলাদেশে ভবন উদ্বোধনে এক মঞ্চে মোদী-মমতা-হাসিনা

শান্তিনিকেতন, ২১ মে (হি.স.): বিশ্বভারতীর একদিকে সমাবর্তন, একই সঙ্গে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনকে ঘিরে এবার চাঁদের হাট। একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতী আচার্য নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। তার জন্য ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে শান্তিনিকেতন। নতুন করে রঙ হযেছে ঐতিহ্যবাহী উদয়ন বাড়ি। ওই বাড়িতেই আচার্য থাকার ঘর প্রস্তুত হযেছে। আগামী ২৫ মে প্রথম শান্তিনিকেতনে প্রথম আসছেন আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবের আয়োজন নিয়ে এখন সাজো সাজো রব উঠেছে।

বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, ওই দিন সমাবর্তন মঞ্চে যাওয়ার আগে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে নেমে সোজা আসবেন উতোরায়নে। সেখানে কবির বসত বাটি উদয়ন বাড়িতে কবি কক্ষে পুসপারঘ নিবেদন করবেন। ওই বাড়িতেই আচার্য কক্ষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আচার্য রওনা দেবেন সমাবর্তন মঞ্চের দিকে। উদয়ন বাড়ি থেকে ছাতিমতলার সামনে দিযে বকুল বীথি হযে শান্তিনিকেতন গৃহের পাশ দিযে আম্র কুঞ্জে যাবেন আচার্য। জানা গিয়েছে,বেলা ১০ টা নাগাদ ঐতিহ্য প্রাঙ্গন আম্র কুঞ্জে জহর বেদী সমাবর্তনে আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন আচার্য।

সূত্রের খবর, ওই মঞ্চে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী যিনি পদাধিকার বলে বিশ্বভারতীর প্রধান এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের এক বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।

ইতিমধ্যেই সমাবর্তন মঞ্চ জহর বেদীতে উঠার যে পথ সেই পথ বিশ্বভারতী শিল্পী রা আলপনা দিযে সাজিয়ে তুলছেন। এদিকে কবির উদয়ন বাড়ি নতুন করে রঙ করা হয়েছে। অতিথি সকলের জন্য দুপুরে ভোজন-এর আয়োজন থাকলেও এক সঙ্গে খাওয়া দাওযা হবে না কি পৃথক ভাবে তা এখনও চূড়ান্ত হয নি। এই নিযে প্রধানমন্ত্রী দফতর এখনও সবুজ সংকেত দেয়নি। তবে বিশ্বভারতী সব রকম ব্যবস্থা রাখছেন।

সমাবর্তন শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী ও এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিরা পৌঁছে যাবেন শান্তিনিকেতনে তৈরি বাংলাদেশ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে। সেখানে একটি প্রদর্শনী ও একটি গ্রন্থাগারের শুভ সূচনা করবেন অতিথিরা। বাংলাদেশ ভবনের অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রা একান্ত আলোচনায বসবেন। বিশ্বভারতী উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, সমাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। আচার্য ছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলে সন্মতি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *