বেজিং, ২৭ এপ্রিল (হি.স.) : জনসংখ্যায় বিশ্বে সবচেয়ে বড় দুই দেশ ভারত ও চিন। ‘চিন নতুন যুগের কথা বলছে। আমিও ভারতকে নতুন করে গড়তে চাইছি। ভারত-চিন দু’দেশেরই উচিত বিশ্ব-শান্তির লক্ষ্যে এগনো। এই বক্তব্য দিয়েই শুক্রবার দু’দিনের চিন সফরে প্রথম বৈঠকে মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত ও চিন একজোট হলে দু’দেশের বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি ইতিবাচক দিক হল, ভাবনা, যোগাযোগ, সমর্থন, প্রতিশ্রুতি এবং শেয়ার্ড ভিশন্।’ এই পাঁচটি বিষয়ের ভিত্তিতেই কাছাকাছি আসতে পারে দুই দেশ। ইউহান প্রদেশের হুবেই প্রভিন্সিয়াল মিউজিয়ামে দু’দেশের ছয়জন করে কূটনীতিককে নিয়ে হয় এই ‘ঘরোয়া’ বৈঠক। হুবেই প্রদেশের মিউজিয়ামে মোদীকে নিজেই স্বাগত জানান চিনের প্রেসিডেন্ট। হুবেই প্রদেশের নিজস্ব সাংস্কৃতিক রীতি মেনে মোদীকে স্বাগত জানানো হয়। অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জিনপিং বলেন, হুবেই প্রদেশে তিনি কখনও আসেননি। তাই এই জায়গাটিকেই তাদের সাক্ষাতের জন্য বাছা হয়েছে। জিনপিংকে মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইউহানে এসেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মোদী বলেন, চিন ও ভারতের একটি বিষয়ে মিল রেয়েছে। নদী কেন্দ্রীক সভ্যতাকে ঘিরেই দুই দেশ বেড়ে উঠেছে।
মিউজিয়াম চত্বরে প্রথম সাক্ষাতেই মোদী জিনপিংকে বলেন, ‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীনও ইউহান প্রদেশে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। এখানকার তিনটি বাঁধের কথা শুনেছিলাম। যে দ্রুততায় আপনারা ওই বিশালাকার নির্মাণ কাজ শেষ করে ছিলেন তা আমায় অনুপ্রাণিত করেছিল। তাই আমি সেই কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। গোটা একদিন বাঁধের ওখানে কাটিয়ে ছিলাম’। ডোকলাম বিবাদের পর দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।