BRAKING NEWS

এনআরসি নবায়নে গরমিল, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর অশান্ত হবে অসম, মনে করে আরএসএস

গুয়াহাটি, ১ এপ্রিল, (হি.স.) : আইএমডিটি (দ্য ইল্লিগ্যাল মাইগ্র্যান্টস-ডিটারমিনেশন বাই ট্রাইবুনাল) আইনের চেয়েও ভয়াবহ হবে এনআরসি (ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর অসমের পরিস্থিতি অশান্ত হবে। মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উত্তর অসম প্রান্ত প্রচারপ্রমুখ শংকর দাস কলিতা।
রবিবার এক অনুষ্ঠানে এনআরসি সম্পর্কে নানা প্রশ্ন শংকর দাসের কাছে রাখা হয়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর এই শঙ্কার কথা বললে শংকর দাসের কাছে এর ভিত্তি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ২০১১ সালে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যাঁরা বিদেশি বলে প্ৰমাণিত হয়েছিলেন তাঁদের হাতে এখন এনআরসি-র যাবতীয় নথি। বলেন, শুদ্ধ এনআরসি-র দাবিতে যে সংগঠনগুলি, বিশেষ করে সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু)-সহ রাজ্যের ২৬টি সংগঠনও জানে না জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কাজ কোন গতিতে চলছে। তারা সবাই অন্ধকারে উল্লাসে মাতাল হয়ে বুঁদ। আরও পরিষ্কার করে বলেছেন, এনআরসি-র রাজ্য সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলাই কেবল জানেন এই কাজ কোন ধারায় চলছে। তাঁর সাফ কথা, যে দিশায় এনআরসি নবায়নের কাজ চলছে তা মোটেই ভালো হচ্ছে না।
এনআরসি নবায়নের নামে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হবে তাকে মোটেই ত্রুটিহীন হবে বলে মনে করেন না। এর ফলে হিন্দু বাঙালিদের ওপরই কোপ পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন শংকর দাস কলিতা। তাঁর মোদ্দা কথা, শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জির নামে স্বদেশিদের বিদেশি এবং বিদশিদের স্বদেশি করার কাজ চলছে আদালতের দোহাই দিয়ে। বংশবৃক্ষ যাচাইয়ের নামে চলছে অযথা হয়রানি, এবং তা বেছে বেছে। ভূড়ি ভূড়ি দৃষ্টান্ত দিতে পারবেন তিনি, জানিয়েছেন আরএসএস-এর পদাধিকারী। তবে সংঘ বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা ভারতে এসেছেন, সেই সব হিন্দু বাঙালিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *