BRAKING NEWS

প্রতিবাদ সভা দিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধের শঙ্খ বাজাল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ নির্বাচনী যুদ্ধের জন্য শঙ্খ বাজিয়ে দিল বিজেপি৷ সারা রাজ্যে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ বুধবার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রতিবাদ সভায় প্রচুর মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷ সারা রাজ্যে বিজেপির পদযাত্রার ব্যাপক প্রভাব পরেছে বলে দাবি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের৷ বিকাল ৪টায় মধ্যে পদযাত্রা এবং প্রতিবাদ সভা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে রাত পর্যন্ত সভা চলেছে৷ ব্যাপক জনসমাগম প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির চিন্তা বাড়িয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷

এদিন বেলা ১২টা থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এক যোগে পদযাত্রা শুরু হয়৷ পদযাত্রায় উপস্থিতির হার বিজেপির জন্য সন্তোষজনক ছিল৷ পদযাত্রাগুলো কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ২ কিলোমিটার এলাকা প্রদক্ষিণ করেছে৷ বিজেপির এই কর্মসূচী গুলিতে যোগ দিতে এসেছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২৫ জন মন্ত্রী বিধায়ক৷ তাছাড়াও আছেন প্রচুর বহিঃরাজ্যের নেতা৷ একই সঙ্গে রাজ্য নেতাদেরও বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ রাজ্যে ক্রমাগত বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা, হত্যা ইত্যাদির প্রতিবাদে এই পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ বিক্ষোভ সভাগুলোতে পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বামফ্রন্ট সরকারকে জানান দেওয়া হয়েছে তাদের আয়ুস্কাল ঘনিয়ে এসেছে৷ পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ সভা শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র গুলি থেকে এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি৷ তবে এখনো বহু বিধানসভা কেন্দ্রে বিক্ষোভ সভা চলছে৷ জনগণ সিপিআইএম এর খুন সন্ত্রাস উপেক্ষা করে ব্যাপক হারে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ সভায় সামিল হয়েছেন৷

বুধবারের এই পদযাত্রায় বহু নতুন সমর্থক এসে বিজেপির পতাকা তলে সামিল হয়েছেন৷ এসমস্ত পদযাত্রায় জনসমাগমের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল তার চাইতে উপস্থিতি ছিল কয়েকগুণ বেশী, দাবি প্রদেশ বিজেপি’র৷ বিপ্লববাবু বলেন, আজকের এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের অপশাসনের অবসানের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে৷ আজকের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ উপস্থিতি প্রমাণ করেছে রাজ্যবাসী এই সরকারকে আর চাইছে না৷ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তুলনায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো৷ বিজেপি এই কর্মসূচির আয়োজন করলেও এটি রাজ্যবাসীর পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ বৃহস্পতিবার থেকে বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অন্তিম পর্যায়ের প্রচারভিযান শুরু করবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নির্বাচনী ক্ষেত্র দিয়ে এই প্রচারাভিযানের সূচনা ঘটবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *