BRAKING NEWS

দলত্যাগের দায়ে রতন নাথ ও হিমানী দেববর্মার সদস্যপদ খারিজের আবেদন প্রদেশ কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর৷৷ বিধায়ক রতনলাল নাথের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের জন্য অধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস৷ একই সঙ্গে আগরতলা পুর নিগমের সদস্যা হিমানী দেববর্মার সদস্যপদও খারিজের দাবি জানিয়েছে দল৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই বিধায়ক রতনলাল নাথ এবং পুরনিগমের কাউন্সিলার হিমানী দেববর্মার সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে কংগ্রেস৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র হরেকৃষ্ণ ভৌমিক৷
বিধায়ক রতনলাল নাথের নেতৃত্বে শুক্রবার হিমানী দেববর্মা সহ বেশ কয়েকজন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য, মহিলা কংগ্রেস সদস্য এবং কংগ্রেস সেবাদলের পদাধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ এবিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে শামিল হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দলের সাংগঠনিক রীতিনীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ তবে তাঁদের এ ধরনের পদক্ষেপে দল দুর্বল হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি৷
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী ভৌমিক বলেন, রতনলাল নাথের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের জন্য ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষ রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে আগরতলা পুর পরিষদের কংগ্রেস সদস্য হিমানী দেববর্মার সদস্যপদ খারিজের জন্যও মেয়রের কাছে আবেদন জানানো হবে৷ তিনি বলেন, রতনলাল নাথের সঙ্গে বিজেপিতে যোগদানকারী প্রদেশ সদস্য সত্যব্রত রায়, গৌতম দেববর্মা, বিবেক রায় ও তপন সাহাকে ছয় বছরের জন্য দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কংগ্রেস থেকে বহিস্কার করা হয়েছে৷
শ্রী ভৌমিক বলেন, রতন লাল নাথ কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন, একই সঙ্গে হিমানী দেববর্মাও দল ত্যাগ করেছেন৷ তাঁরা উভয়েই কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করতেই হবে৷ উল্লেখ্য, মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচবারের বিধায়ক রতনলাল নাথ আজই বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন৷ অতীতে তিনি বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও পালন করেছিলেন৷ অন্যদিকে, হিমানী দেববর্মা আগরতলা পুর নিগমের ২২ নং ওয়ার্ডের টানা দু-বারের সদস্যা এবং প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী৷
এদিন শ্রী ভৌমিক বলেন, ক্ষমতার লোভেই রতনবাবুরা বিজেপিমুখী হয়েছেন৷ রাজ্যবাসীর স্বার্থে নয়, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যেই তাঁরা কংগ্রেস ছেড়েছেন৷ কিন্তু, তাতে কংগ্রেসের উপর কোন প্রভাব পরবেনা৷ তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বহু দলত্যাগিরা কংগ্রেসে ফিরে আসবেন৷ এদিকে আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, টুজি স্পেক্ট্রাম মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস হওয়ার ঘটনায় প্রমানিত হয়েছে কংগ্রেস দুর্নীতি করেনি৷ তাঁর দাবি, টুজি স্পেক্ট্রাম ইস্যুতে কংগ্রেস চক্রান্তের শিকার হয়েছে৷ তবে, এখন দেশবাসীর কাছে সমস্তকিছু জলের মত পরিস্কার হয়ে গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *