BRAKING NEWS

শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ, ত্রিপুরায় সীমান্তে কঠোর নজরদারী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ আগষ্ট৷৷ সীমান্ত রাজ্য ত্রিপুরার রবিবার দুপুরে প্রতিবেশী বাংলাদেশ আদালতের দেওয়া এক রায় কে নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে৷ দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় আন্তর্জাতিক মৌলবাদী সংগঠনের ১০ সদস্যকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত৷ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ১০ সদস্যের মৃত্যুদন্ডের আর্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল৷ রবিবার দুপুরে ঢাকার ২ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন৷ এর আগে গত ১০ আগষ্ট রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করে ঢাকায় ২ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের জানা গেছে, ২০০০ সালের ২২ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় শেখ লুংফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়৷ পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে৷ পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়৷ ওই ঘটনায় সেদিনই কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন একটি মামলা করেন৷ ত্রিপুরার জনসংখ্যার সিংহ ভাগই বাঙালী৷ যার বড় অংশ অধুনা বাংলাদেশ তথা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন৷ এখনও সীমান্তের উভয় দিকের জনগণের মধ্যে গণিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে৷ বাণিজ্যিক সম্পর্কও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ফলে বাংলাদেশের যে কোন বড় ঘটনা এই রাজ্যকে প্রভাবিত করে৷ আর বাংলাদেশ আদালতের রায় সীমান্তের এপারেও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে৷ অন্যদিকে, এই মামলার দোষী সাব্যস্ত কয়েক জন এখনও পলাতক রয়েছে৷ সে দেশের আদালতের রায়ের পর তারা সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যাতে এই রাজ্যে চলে না আসতে পারে তার জন্য সীমান্তের ওপারে বিজিবি ও এপারে বিএসএফ নজরদারী জোরদার করেছে৷
শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল৷ ১৭ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পূর্তে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে৷ রবিবার ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন৷ এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে৷ মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মোএহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো মাহুমুদ আজহার, মো রাশেদ ড্রাইভার, মো শার নেওয়াজ, মো ইউসুফ, মো লোকমান, শেখ মো এনামূল ও মো মিজানুর রহমান৷ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৭ বছর আগে ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল৷ এর আগে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ৷ এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে জ্ঞেকটি মামলা করা হয়৷ পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন৷ এরপর ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়৷ ওই মামলায় এদিন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রায় ঘোষণা করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *