BRAKING NEWS

ইদ উপলক্ষে পাহাড়ে বনধ আংশিক শিথিল করল মোর্চা

দার্জিলিং, ২৫ জুন (হি.স.) : সোমবার ইদ। তাই রবিবার ১২ ঘণ্টার জন্য বন্‌ধ আংশিক শিথিল করেছে মোর্চা। ইদ ডিউটি লেখা গাড়ি চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের কথা ভেবেই এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা অন্যত্র গিয়ে শেষবেলার কেনাকাটা করতে পারেন। পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইদ উৎসবকে মাথায় রেখেই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। ইদ উপলক্ষে পাহাড়ে বনধ শিথিল করতে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠন অনুরোধ জানানোর পরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির দেখিয়ে এই ছাড় দেওয়া হল।
ইদকে কেন্দ্র করে এই সময় উৎসবে মাতেন সংখ্যালঘুরা। চলে হরেকরকম কেটাকাটা, শুভেচ্ছা বিনিময়। কিন্তু, পাহাড়ে বনধ চলায় সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘুরা সমস্যায় পড়ছিলেন। রাস্তায় যান চলাচল না করায় কেনাকাটা, রসদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কার্যত জেরবার হতে হচ্ছিল সকলকে। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই ইদ উপলক্ষে ১২ ঘণ্টার জন্য পাহাড়ে বনধ শিথিল করা হচ্ছে। ওই সময়সীমায় পাহাড়ে চলবে যানবাহন। সোমবারও ইদ স্টিকার লাগানো গাড়িতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাতে মুসলিমরা মসজিদে নমাজের জন্য এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে যেতে পারেন। সোমবারও ইদের জন্য সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ আংশিক শিথিল থাকবে শুধু মুসলিমদের জন্য। ইদ উপলক্ষে সোমবার কোনও মিটিং মিছিল পাহাড়ে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মোর্চা। তবে দোকান, বাজার, স্কু, অফিস আগে মতোই বন্ধ থাকবে।
এদিকে বনধ শিথিল হচ্ছে জেনেই আগামীকালের জন্য রসদ সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, এই পরিস্থিতিতে রসদ ফুরিয়ে এসেছে। বনধ শিথিল হওয়ায় ওই দিনে রসদ সংগ্রহ না করলে সমস্যা আরও বাড়বে। শিলিগুড়ি থেকেও রসদ পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মহাবীরস্থান, রেগুলেটেড মার্কেট সহ যেসব মার্কেট থেকে পণ্য পাহাড়ে পৌঁছয় সেখানে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।
এদিকে আগামী ৫ জুলাই অবধি পাহাড়ের বিভিন্ন দফতরের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে প্রশাসন। গতকাল জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত এক নির্দেশিকায় জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ে সমস্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই অবধি এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গত ১৫ তারিখ থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বন্‌ধ চালাচ্ছে মোর্চা। এ ব্যাপারে তারা পাশে পেয়েছে, পাহাড়ের অন্য দলগুলিকেও। বন্‌ধের ফলে পাহাড়ের জনজীবন প্রায় থমকে রয়েছে। ভুগছে দার্জিলিং সহ পাহাড়ের বিভিন্ন বোর্ডিং স্কুল, চা বাগানগুলি। বন্‌ধের ফলে পাহাড়ের চা বাগানের কমপক্ষে ২ লক্ষ কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাগান মালিকদের আশঙ্কা, এভাবে বন্‌ধ চলতে থাকলে কয়েক কোটি টাকার লোকসান হবে।সমস্যায় পড়েছেন দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানার কর্মীরাও। কারণ রসদের অভাবে পশুপাখিদের খাবারে টান পড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *