BRAKING NEWS

গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিশ্রামগঞ্জ শাখায় গ্রাহক হয়রানির মারাত্মক অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১১  জুন৷৷ বিশ্রামগঞ্জ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি কথা শোনা যাচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকদের মুখ থেকে৷ এমনই অভিযোগ ওঠেছে যে যদি কোন গ্রাহক টাকা তুলতে যায় তখন তাদের বলা হয় ইন্টারনেট খারাপ আবার কর্মচারীরও অভাব৷ কিন্তু এইসব কারনে বহু গ্রাহক ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে ইচ্ছা থাকলেও দূরে সরে থাকে৷ আর তাছাড়া বিশ্রামগঞ্জ গ্রামীন ব্যাঙ্কে গ্রাহক হয়রানী হচ্ছে পুরানো ব্যাপার৷  গ্রাহকরা অভিযোগ তুলেছেন ব্যাঙ্কের পূর্বতন ম্যানজার জয়দ্বীপ মুখার্জীর সময় থেকেই গ্রাহক হয়রানি শুরু হয়েছে৷ বিগত একমাস আগে বদলি হয়ে গেছে৷ বর্তমান ম্যানজার মুক্তি দত্ত মজুমদার৷ পূর্বের ম্যানেজার জয়দ্বীপবাবু বিশ্রামগঞ্জে থাকাকালীন ষোল জন চাকুরীরত গ্রাহকদের হোম লোনের জন্য আবেদন পত্রও অন্যান্য নথিপত্র জমা নেন৷ কিন্তু লোন দেওয়া হবে হচ্ছে বলে দু’তিনমাস অতিক্রান্ত করে নেয়৷ এমনই সময় বদলিও হয়ে যান তিনি৷ এখন বর্তমান ম্যানাজার জানান যদি হোম লোন পেতে হয় তাহলে পুনঃরায় আবেদন ও কাগজ পত্র দাখিল করতে হবে৷ গ্রাহকরা বলেন কেন আমরা আবার আবেদন করব? এও জানা গেছে ব্যাঙ্কে কাগজ পত্র ও প্ল্যান জমা দিতে দশ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে৷ ডিডিও প্রদেয় সাটিফিকেটও জমা দেওয়া হয়েছে৷ দ্বিতীয়বার ডিডিও সাটির্ফিকেটও দেওয়ার জন্য অস্বীকার করবে৷ এ ব্যাপারে পূর্বের ম্যানাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি বলেন আইটি রিটার্ন ফাইল জমা করতে হবে৷ তবে এবিষয়ে তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে লোন পাওয়া যাবে না৷ কেন আমাদেরকে দশ হাজার টাকা খরচ করিয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জানানো হয় অফিসিয়াল কাজ তো করতেই হবে৷ তাছাড়া অভিযোগ ওঠেছে ব্যাঙ্কের এক অস্থায়ী কর্মী ব্যাঙ্কের ভিতরে অফিস চলাকালে ব্যাঙ্কের ভিতরে গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্মীদের মদতে হয়রানি করছেন৷ তাছাড়া যদি কেউ ব্যাঙ্কে লোনের জন্য যায় ব্যাঙ্ককর্মীরা দেখিয়ে দেন অস্থায়ী কর্মীকে৷ বিনিময়ে লোনের ১৫ শতাংশ টাকা তাকে দিতে হয়৷ তাই এই সকল হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সুষ্ঠ পরিষেবার দাবী ওঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *