BRAKING NEWS

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জানেন না শিক্ষক, মর্জিমাফিক চলছে সুকল

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৮ এপ্রিল৷৷ উত্তর জেলার প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণের আজব আজব শিক্ষক শিক্ষীকারা কিভাবে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করছেন, তা জানেনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, এমনই প্রশ্ণ অভিভাবকদের৷  প্রতিটি সুকলে ইনচার্জ ও প্রধান শিক্ষকরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জানেনা৷ বলতে পারেনা ডিএম এবং এসডিএম এর নামও৷ উনারা আবার সমাজ ও জাতির মেরুদন্ড৷ ঐ সকল হগব মার্কা শিক্ষকরাই যদি কোন কিছু না জানে তাহলে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে শিক্ষিত করবে৷ কোন পথে যাচ্ছে আমাদের নব প্রজন্ম-এর ভবিষ্যৎ৷ এমনি এক চিত্র দেখা গেল উত্তর জেলার কূর্তী ডেউবাড়ি জেবি সুকলে৷ শনিবার ঘড়ির কাটায় ১২৭ পিএম ৷ সুকলে শুধু প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী৷ স্কুলে নেই ছাত্রছাত্রী৷ সুকলের সামনে গরু ছাগলে ঘাস খাওয়ার চিত্র পরিলক্ষিত হল৷ সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করালেন সুকলে কেন ছাত্রছাত্রী নেই? উত্তরে জানান আজ শনিবার তাই ছুটি দিয়ে দিয়েছি৷ কিন্তু শনিবারতো ২ টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা৷ উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান আজ কদমতলার আইএস অফিসার সুজিৎ কুমার দেববর্মা এসেছিলেন উনাকে বলে একটু তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিয়েছি কারন আমি একটু শহরে যাব৷ ভাল করে দেখুন এই আজব প্রধান শিক্ষকের কান্ডকারখানা৷ উনি বলেন, উনার সুকলে ৮১(একাশি) জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে৷ আর দুজন মাত্র শিক্ষক৷ অপরজন আগরতলার বাসিন্দা ছুটিতে রয়েছেন৷ উনি মিড ডে মিলের ঘরটিও দেখান বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন৷ কারন ঐ রান্নাঘরে মিড ডে মিলের রান্নাই হয়না অভিযোগ এলাকাবাসির৷ শিক্ষক মশাই বলেন আমি খুব ক্লিন থাকার চেষ্টা করি৷  ২০ বছর চলছে আমার চাকুরি জীবন৷ ০১/০১/১৩ সালে ঐ সুকল তৈরী হওয়ার পর থেকেই আমি এখানকার দায়িত্বে৷ তবে উনি কেমন শিক্ষাগুরু তা জানলে আশ্চর্য্য হবেন যে, উনাকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেসা করলে উনি প্রথমে বলেন, স্বরণ হচ্ছেনা, তারপর বলেন বাদল চৌধুরী, আবার বলে উঠেন পূর্বে ছিলেন তপন চক্রবর্তী৷ উত্তর জেলার ডিএম এবং এসডিএম এর নাম জিজ্ঞেস করলে মুখে কুলুপ৷ সর্বশেষ উনার একটাই বক্তব্য, উনি নাকি সংবাদ মাধ্যমের সামনে এভাবে কোনদিন সাক্ষাৎকার দেননি তাই সব কিছু গুলে গিয়েছে৷ এবারে প্রশ্ণ এরকম আজব শিক্ষকরাই কি রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনকে পরিচালিত করবেন ? এভাবে শুধু কূর্তী ডেইবাড়ি সুকলের শিক্ষক নয় উত্তর জেলা ও রাজ্যের সবকটি সুকলেই এমন আজব শিক্ষকমশাইরা রয়েছেন৷ উল্লেখ্যযোগ্য যে, কূর্তী ডেউবাড়ি জেবি সুকলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৮১ জন ছাত্রছাত্রী৷ ছাত্রছাত্রীদের অভিবাবক মহলের অভিযোগ ঐ সুকল দুইজন শিক্ষক রয়েছেন৷ উনারা নিয়মিত কেউই সুকলে আসেননা৷ সুকলে নেই কোন বসার ব্যবস্থা৷ মিড ডে মিল ও নিয়মিত পায়না ছাত্ররা৷ উনারা বহুবার অভিযোগ করে ক্লান্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *