চাপর (অসম), ৩০ মার্চ (হি.স.) : ধুবড়ি জেলার চাপর থানার অন্তর্গত বীরঘাট এলাকায় গুয়াহাটির এক তীর্থযাত্রী দলের গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে ঘটনাস্থলেই তিন মহিলার করুণ মৃত্যু ঘটে। তাছাড়া এতে শিশু-মহিলা-সহ অন্য আট তীর্থযাত্রী গুরুতরভাবে ঘায়েল হয়েছেন। আহত সবাইকে বঙাইগাঁওয়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের জনৈক যতীন ডেকার পত্নী চারুপ্রভা ডেকা (৫৫), উপেন কলিতার পত্নী অঞ্জলি কলিতা (৫০) এবং লোহিত বৈশ্যের পত্নী রেণু বৈশ্য বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা সকলেই গুয়াহাটি মহানগরের চাঁদমারি থানার জ্যোতিনগরের বাসিন্দা।
জ্যোতিনগরেরই এগারো তীর্থযাত্রী এএস ০১ বিওয়াই ১৩৫৮ নম্বরের একটি ইকো ভ্যান নিয়ে ধুবড়ির মহামায়া মন্দির দর্শন করতে আসেন। দেবী মহামায়ার দর্শন ও পুজো করে ফেরার পথে সকাল প্রায় ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ বীরঘাট এলাকায় আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইকো ভ্যানটি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন অভিশপ্ত গাড়ির ভিতর আবদ্ধ যাত্রীদের বের করতে থাকেন। খবর পেয়ে দলবল নিয়ে ছুটে আসেন চাপরের ওসি। যাত্রীদের গাড়ির ভিতর থেকে বের করে আনতে তাঁরাও হাত লাগান।
সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষাণা করে বাকি আট আহতকে তাৎক্ষণিকভাবে বঙাইগাঁওয়ের হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। সে অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বঙাইগাঁওয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আহতরা যথাক্রমে গুয়াহাটি জ্যোতিনগরেরই বাসিন্দা বনমালি বর্মনের পত্নী সারু বর্মন (৫০), পাখিন কলিতার পত্নী রীতি কলিতা (৫০), প্রফুল্ল কলিতার পত্নী ও শিশুসন্তান নিলীমা কলিতা (৪৫) ও কৃষ্ণাংশু কলিতা, কমল ডেকার পত্নী ও দুই শিশুসন্তান জুরি ঠাকুরিয়া (৩৫), রিশান ডেকা (৬) ও গৌরঙ্গ ডেকা, যতীন ডেকার পুত্র কমল ডেকা (৩৮)।