নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মার্চ৷৷ ব্যাঙ্ক শিল্পের ওপর মারাত্মক আঘাত এসেছে৷ তাই ব্যাঙ্ক শিল্প বিরোধী কোন সমঝোতায় রাজি নয় ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন৷ এরই পাশাপাশি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যাবে ফেডারেশন৷ শুধু তাই নয়, ঋণ খেলাপিদের সম্পত্তি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করা হোক দাবি ফেডারেশনের৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস সংগঠনের এই সিদ্ধান্তগুলি জানিয়েছেন৷
এদিন শ্রীবিশ্বাস জানিয়েছেন, গত অর্থবছরে অপারেশনাল প্রফিট ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলির ১৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে৷ এর জন্য তিনি বিজয় মালিয়াদের মত ঋণখেলাপিদের দায়ী করেছেন৷ এরই পাশাপাশি কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার যদি ঋণ খেলাপিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করত তাহলে ব্যাঙ্কগুলির বিরাট লোকসান বহন করতে হত না৷ তিনি ক্ষোভের সুরে জানান, বিজয় মালিয়া বিদেশে লুকিয়ে রয়েছেন৷ অথচ কেন্দ্রীয় সরকার তাকে ধরে এদেশে এনে ঋণ পরিশোধের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ এদিন তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দশটি ব্যাঙ্ক চিহ্ণিত করে বাজেট থেকে মূলধন দিত৷ কিন্তু এখন কেন্দ্র শর্ত আরোপ করেছে বাজেট থেকে তখনই মূলধন দেওয়া হবে যখন ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন এবং সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷ তিনি জানান, ব্যাঙ্ক শিল্প এবং এর সাথে যুক্ত কর্মচারী বিরোধী কোন শর্ত মেনে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে না৷
এদিন তিনি বলেন, আগের সরকার ব্যাঙ্ক বেসরকারি করার চেষ্টা করেছিল৷ বর্তমান সরকারও সেই চেষ্টা জারি রেখেছে৷ এসবিআই’র সাথে পাঁচটি ব্যাঙ্ককে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্র চাইছে সারা দেশে দশটি ব্যাঙ্ক থাকুক৷ বাকি সব কটা ব্যাঙ্ক এই দশটি ব্যাঙ্কের সাথে যুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রের৷ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ব্যাঙ্ক যুক্তকরণে বেকারত্ব বাড়বে৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অনেককেই স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র যে পথে হাঁটছে তাতে অনেক ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাবে৷ তাই ফেডারেশন কেন্দ্রের এই সমস্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷