BRAKING NEWS

বিল্ডিং রুলস সংশোধনী কার্যকর নিয়ে অনিশ্চিয়তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মার্চ৷৷ বিল্ডিং রুলস সংশোধনী কার্যকর নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে৷ তবে, নগরোন্নয়ন দপ্তরের বক্তব্য, খুব শীঘ্রই বিল্ডিং রুলস সংশোধনী কার্যকর সম্ভব হবে৷
বিল্ডিং রুল সংশোধনীর বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছে৷ কিন্তু এরপর থেকে এই রিপোর্ট আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার৷ সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে বিল্ডিং রুলস সংশোধনীর বিষয়ে জানতে চান৷ তখন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের বিষয়ে আলোচনার জন্য বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানান৷ সে মোতাবেক গত ১৬ মার্চ বিল্ডিং রুলস সংশোধনী নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের উপর আলোচনা হয়েছে৷ এবিষয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, ঐদিন বিধায়কদের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে৷ বিধায়ক গোপাল রায়, রতন লাল নাথ, বাসুদেব মজুমদার, শ্যামল চক্রবর্তী এবং বিশ্বজিৎ দত্ত ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া পুর নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা, ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তী, মেয়র ইন কাউন্সিল ফুলন ভট্টাচার্য এবং কৃষ্ণা মজুমদার সহ পূর্ত দপ্তরের দুই চিফ ইঞ্জিনিয়ার, নগরোন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, পূর্ত দপ্তরের সিনিয়র আর্কিট্যাক্ট, পুর নিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ন্যাশনাল ডিজেস্টার ম্যানেজম্যান্টের আধিকারীক এবং টাউন এন্ড কান্ট্রি প্লেনার উপস্থিত ছিলেন৷
নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের বিষয়ে বিধায়কদের অবগত করানো হয়েছে৷ পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে৷ আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তাঁদের মতামত জানানোর জন্য বলা হয়েছে৷ ঐদিন একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ কমিটিতে রয়েছেন, পূর্ত দপ্তরের দুই চিফ ইঞ্জিনিয়ার, নগরোন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, টাউন এন্ড কান্ট্রি প্লেনার এবং আই দপ্তরের একজন আধিকারীক৷ বিধায়কদের মতামত এই কমিটি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে রাজ্য সরকারের কাছে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে৷ এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন৷
এখন প্রশ্ণ উঠেছে, এই প্রক্রিয়ায় আরো কত সময় লাগবে৷ বর্তমানে নতুন বাড়ি তৈরী করার কোন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷ বিল্ডিং রুলস সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত নতুন বাড়ি তৈরির অনুমতিও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই, বিল্ডিং রুলস সংশোধনী তাড়াতাড়ি কার্যকর হউক দাবি উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *