রাজ্যে আইন সমাজদ্রোহীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, অভিযোগ বিজেপির জাতীয় নেতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মার্চ৷৷ বিমল সিনহা হত্যার ১৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সেই হত্যাকান্ডের সাথে কাউকে আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, এবিষয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির দিকেই আঙ্গুল তুলেন বিজেপির জাতীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিং৷ কমলপুরে দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজনীতির অভিযোগ তুলে এখন থেকে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
রবিবার কমলপুর মহকুমায় মানিকভান্ডার এসবিসুকল মাঠে বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিপিএম ক্যাডার এবং নেতারা যেভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করেছেন তাতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আতঙ্কগ্রস্ত৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার দল এবং একাংশ নেতা ও ক্যাডারদের জন্য নিবেদিত৷ তাঁর মতে, রাজ্যে আইন জনগণের বদলে সমাজদ্রোহীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে৷ তাঁর দাবি, রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ৷ কারণ, সিপিএম’র জনপ্রিয় উপজাতি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিমল সিনহা হত্যাকান্ডে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি৷ শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার দীর্ঘ সময় ধরে বিমল সিনহা হত্যা মামলায় তদন্ত রিপোর্ট চেপে গিয়েছিল৷ এদিন তিনি দাবি করেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে সরকার বদল খুবই জরুরি৷
এদিন তিনি আরো বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের প্রশ্ণেও বামফ্রন্ট সরকার ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছে৷ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে খরচ না করেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ফিরিস্তি গেয়ে চলেছে৷ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এখন রাজ্যের সমস্ত দুর্বলতা খঁুজে বের করবে৷ জনগণের জন্য বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করা না হলে তার জবাব রাজ্য সরকারকে দিতেই হবে৷ অন্যথা, অর্থ বরাদ্দ আটকে দেওয়া হবে৷
তিনি মনে করেন, রাজ্য সরকার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে৷ তাই ২০১৮ সালে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে জানান, রাজ্যবাসী উন্নয়নের প্রশ্ণে সেই পদক্ষেপ নেবেন৷ কোন শক্তি ২০১৮ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে আটকাতে পারবে না বলে জোর গলায় দাবি করেন তিনি৷
এদিন, জনসভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব, দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর এবং ধলাই জেলা বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন৷ প্রত্যেকেই রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনায় মুখর হন৷ এদিন এই জনসভায় সিপিএম’র প্রাক্তন বিধায়ক প্রশান্ত দেববর্মার অগ্রজ পরিমল দেববর্মা বিজেপিতে যোগদান করেন৷ সব মিলিয়ে ৫২ পরিবারের মোট ২১৮ জন এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *