রাজ্যের আইনজীবী, বিচারক ও বিচারপতিদের গঠনমূলক ভূমিকা চান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগতরলা, ১৮ মার্চ৷৷ বিচার ব্যবস্থায় বিচারক এবং বিচারপতিদের আবেদনকারী ও মামলাকারীদের সাথে

শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগই৷ নিজস্ব ছবি৷

বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহজগম্য সম্পর্কের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা পাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগই৷ এক্ষেত্রে তিনি রাজ্যের আইনজীবী এবং বিচারক ও বিচারপতিদের গঠনমূলক ভূমিকার প্রত্যাশা করেন৷ শনিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ত্রিপুরার আইনজীবী এবং বিচারক ও বিচারপতিদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷
আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগই৷ বর্তমান ত্রিপুরা হাইকোর্ট ভবনের পাশেই গড়ে উঠবে নতুন এই ভবনটি৷ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি ভাইপেই ছাড়াও মুখ্যসচিব সঞ্জীব রঞ্জন, পুলিশের মহানির্দেশক কে নাগরাজ, ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান যশপাল সিং, ত্রিপুরা হাইকোর্ট, জেলা ও সেশন আদালতের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগই দেশের ২৪তম হাইকোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের সফলতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ত্রিপুরা হাইকোর্ট কম সময়ের মধ্যেই আইনী পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে৷ তিনি সবার জন্য সহজ আইনী পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বার ও বেঞ্চ এর দায়বদ্ধতার কথা ধরে সময় মতো ন্যায়বিচার দানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন৷
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি ভাইপেই বলেন, রাজ্যে আইন পরিষেবার উন্নয়নে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দরকার রয়েছে৷ বিশেষ করে জেলা আদালতগুলিতে মৌলিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান বজায় রাখতে আহ্বান জানান৷ তিনি জানান মামলায় জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে সাক্ষী, মহিলা, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের যাতে আদালতে হয়রানির শিকার না হতে হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ পাশাপাশি তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও অন্যান্য মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী বলেন, সবার কাছে আইনী পরিষেবা পৌঁছে দিতে সচেষ্ট রয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে গন্ডাছড়া ও লংতরাইভ্যালীর মতো প্রত্যন্ত এলাকায়ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ হাইকোর্টের এই প্রশাসনিক ভবনের জন্য সরকার ১৯১৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে এবং এর নির্মাণ কাজটি যথাসময়ে শেষ হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷