ব্যাঙ্গালুরুর কলেজে সশস্ত্র হামলায় অভিযুক্ত হাবিব মিয়াকে কর্ণাটকে নিয়ে গেল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মার্চ৷৷ ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএস) ক্যাম্পাসে

ব্যাঙ্গালুরুর কলেজে সশস্ত্র হামলার সাথে জড়িত অভিযুক্ত হাবিব মিয়াকে শনিবার আদালতে তোলা হয় ট্রানজিনট রিমান্ডের জন্য৷ ছবি নিজস্ব৷

হামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার আগরতলায় যোগেন্দ্রনগর থেকে আটক হাবিব মিয়াকে ট্রানজিট রিমান্ডে কর্ণাটক নিয়ে গেছে সে রাজ্যের সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চের(সিসিবি) পুলিশ৷ শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে চারদিনের মধ্যে কর্ণাটক নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চায় সিসিবি৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিষয়টি কার্যকর করতে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কাছে পাঠিয়ে দেয়৷ এদিন, দুপুরের বিমানেই সিসিবি’র অফিসাররা তাকে নিয়ে কর্ণাটকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন৷
এদিকে, শনিবার আদালত চত্বরে হাবিব মিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিনা দোষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ তাদের দাবি, হাবিব মিয়া কখনও বেঙ্গালুর যাননি, এমনকি তাদের কোন আত্মীয়ও সেখানে থাকেননা৷ তারা হাবিব মিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হৈচৈ শুরু করে দেন৷ আদালত থেকে যখন তাকে লকআপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশ কর্মীদের৷
সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরে আইআইএস ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত পরিচয় দুসৃকতিদের গুলি চালানোর ঘটনায় কর্ণাটক পুলিশ যে চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে তাতে হাবিব মিয়ার নামও রয়েছে৷ তাকে খুঁজতে কর্ণাটক সিসিবি’র এসিপি’র নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল আগরতলায় আসেন৷ শুক্রবার তাকে যোগেন্দ্রনগর থেকে আটক করে সিসিবি’র অফিসাররা৷ আজ আদালতে তার ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল৷ সিসিবি’র তরফে চারদিনের মধ্যে তাকে কর্ণাটক নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়৷ আদালত সেই মঞ্জুর করে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কাছে কার্যকরের জন্য পাঠিয়েছে৷
এদিন, আদালতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন ছিল৷ হাবিব মিয়ার মুখ ঢেকে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে পুলিশের কড়া নজর ছিল৷