নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মার্চ৷৷ জুট মিল অফিসার ও কর্মীদের বকেয়া পাওনা সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে মিটিয়ে দিতে মহা সমস্যায় পড়েছে রাজ্য সরকার৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুসারে চারমাসের মধ্যেই জুট মিলের অফিসার ও কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারকে৷ সে সময়সীমা ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়ে গেছে৷ অথচ অর্থের সংস্থান নেই, তাই বকেয়া মিটিয়ে দিতে ফের সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার৷
সূত্র অনুসারে জানা গেছে, জুট মিলের অফিসার ও কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের কাছে আরো সময় চেয়ে আর্জি জানাবে রাজ্য সরকার৷ এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে৷ চার মাসের সময় সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময় চেয়ে আর্জি জানালে আদৌ তা গৃহীত হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷
অর্থ দপ্তরের বক্তব্য, টাকার ব্যবস্থা হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবিষয়ে৷ কিন্তু সমালোচকদের মতে, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে চার মাসের মধ্যে জুট মিলের অফিসার ও কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে না দিয়ে রাজ্য সরকার আদালত অবমাননা করেছে৷
উল্লেখ্য, চতুর্থ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারী ও পিএসইউ’র অফিসার ও কর্মীরা সুবিধা পেলেও জুট মিলের অফিসার ও কর্মীরা তার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন৷ এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়৷ হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে ১ এপ্রিল ১৯৯৬ থেকে জুট মিল অফিসার ও কর্মীদের সমস্ত বকেয়া ৬ শতাংশ সুদ সহ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়৷ ২৫ অক্টোবর ২০১৬ সালে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি অভয় মনোহর সাপরের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় উচ্চ আদালতের রায় বহাল রাখেন এবং চার মাসের মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন৷
চলতি ইংরেজি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতেই সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে জুট মিলের অফিসার ও কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে৷ সূত্রের বক্তব্য, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে সময় চেয়ে আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার৷