BRAKING NEWS

কৈলাসহর- কুমারঘাট রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম, ব্যবহার করা হচ্ছে রদ্দি মার্কা ইট

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৭ মার্চ৷৷ কৈলাসহর- কুমারঘাট রাস্তার কাজে চলছে ব্যাপক অনিয়ম৷ কাজ চলছে ধীর গতিতে৷

রদ্দি মার্কা ইট৷ ছবি নিজস্ব৷

যান চলাচলের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে৷ যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে৷ জেলা শাসকের অফিসের নাকের ডগায় গৌরনগর ব্লক প্রশাসনের অফিসের সামনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তার পাশের জল নিষ্কাশনের জন্য ড্রেইন নির্মাণের কাজ৷ প্রশাসনের নদরে আসার পর কেন এইভাবে কাজ চলছে৷ জগনণ এউ রাস্তার কাজের জন্য কতবছর আর আন্দোলন করতে হবে, এমনই কথা বলছেন এলাকার প্রবীন নাগরিকরা৷ খবরে প্রকাশ ২০১০-১১ অর্থ বছরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই রাস্তা উন্নত করার জন্য ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ ভারত সরকারের নির্মাণ সংস্থা বিআরও এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে৷ টাকা মঞ্জুর হবার পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পথে, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি৷ একমাস পর বর্ষা৷ এই সময় কাজ করা সম্ভব নয়৷ যার ফলে অনুমান করা হচ্ছে এই বছর রাস্তার কাজ শেষ হবে না৷ কৈলাসহর কুমারঘাটের জনগণকে এবছরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে৷
বিশেষ করে এসপি অফিসের সামনের দিক থেকে গৌরনগর ব্লক পর্যন্ত রাস্তর জল নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেইন নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে৷ চার পাঁচ বছরের পুরনো ও-ক্লাস (শক্ত মাটির মতো ইট) দিয়ে চলছে প্রায় তিনশ মিটার ড্রেইনের কাজ৷ ইটের মধ্যে মরিচা থাকা সত্বেও পরিস্কার না করে প্লাস্টার করা হচ্ছে৷ মানুষের নজর বার বার আসছে৷ এই নিম্মমানের কাজ দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ৷ এই ও-ক্লাস ইট দিয়ে দুই নম্বরী কাজ কেন করা হচ্ছে প্রতিবেদক নির্মাণ সংস্থা বিআরও এর এক আধিকারীকের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই ইট ধলাই জেলার আমবাসা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং কয়েক বছর আগে এই ইট ক্রয় করা হয়েছিল৷ ইট পুরনো হলেও গুণমান সম্পন্নই৷ কিন্তু, বৃষ্টির জলে ইট ভেঙ্গে যায়, ব্লক অফিসের সামনে রাখা ইট গাড়ি থেকে ফেলার সময় ও বৃষ্টির জলে ভেঙ্গে যাচ্ছে৷ ইটে মরিচা রেখে প্লাস্টার করলে এর স্থায়িত্ব আগামী বর্ষায় তা ভেঙ্গে পড়বে বলে দাবি এলাকাবাসীর৷
কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের অফিসের সামনেই যদি নিম্নমানের কাজ হয় তাহলে অন্যান্য স্থানে কি ধরনের কাজ হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়৷ কৈলাসহর-কুমারঘট ২৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে পাঁচ বছর ধরে৷ সব সময় কি জনগণ বা প্রশাসনের পক্ষে নজর রাখা সম্ভব৷ নির্মাণ সংস্থা নিজ দায়িত্বে কাজ করছে৷ যতটুকু কাজ হয়েছে তা সন্তোষজনক নয়৷ জেলা শাসকের অফিসের নাকের ডগায় বেশ কয়েকটি কালভার্ট, ব্রীজ, রাস্তার সাইট বাধা হয়েছে৷ সেই কাজ নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে৷ রাস্তার অধিকাংশ এলাকাতেই কোন জনবসতি নেই৷ তাই দেখার কেউ নেই৷ মর্জিমাফিক কাজ করা হচ্ছে৷ নিম্নমানের কাজের বিষয়ে নির্মাণ সংস্থার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয় রাস্তা নির্মাণ সংক্রান্ত কোন তথ্য রাস্তার পাশে কোন জায়গাতেই বোর্ডে উল্লেখ করা হয়নি৷ যেইসব তথ্য সামনে আসছে তা মূলত শোনা কথায়৷ নির্মাণ সংস্থার আধিকারীকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মুখ খুলতে চান না৷ এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *