নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ উত্তর জেলার কদমতলায় ভয়ংকর কান্ড৷ বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্মীর কাছ থেকে দিন দুপুরে ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই৷ মূলত কদমতলা থানাকে চেলেঞ্জ জানিয়ে ছিনতাই কারীরা এমন দুঃসাহসীক কান্ড সংঘটিত করে৷ কদমতলা থানার নাকের ডগায় এমন দুঃসাহসিক ছিনতাই কান্ডে গোটা অঞ্চল জুড়ে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ কদমতলা বন্ধন ব্রাঞ্চের রুবি মালাকার (২৬) প্রতি শুক্রবারের মত সাপ্তাহিক কালেকশন তুলতে ভারত-বাংলা সীমান্ত তথা কদমতলা থানাধীন বিষ্ণুপুর এলাকায় ঋণ নেওয়া মহিলাদের কাছ থেকে সাপ্তহিক পেমেন্ট তুলেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা৷ সব টাকা তুলে কদমতলা বন্ধন ব্যাঙ্কে আসার পথে ধর্মনগর কদমতলা সড়কের উপর বড়গোল এলাকা তথা রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিজিতা নাথের বাড়ির পাশে আসার পর এমন ভয়ঙ্কর ছিনতাই কান্ড সংঘটিত হয়৷ তখন দুপুর প্রায় ১২৩৫ থেকে ১টা নাগাদ পিছন দিক থেকে কালো রঙ্গের একটি নম্বর বিহীন বাইকে এসে তিনটি যুবক ব্যাঙ্কের কর্মচারী রুবির সাইকেলের সামনের কেরিয়ার থেকে টাকা ভর্তি বেগ নিয়ে পালিয়ে যায়৷ সাথে সাথে ব্যাঙ্ক কর্মী চিৎকার চেচামেচি করলে আসপাশের লোকজন্য ছুটে এসে কদমতলা থানাকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ব্যাঙ্ক কর্মীকে কদমতলা থানাতে নিয়ে যায়৷ অপরদিকে ব্যাঙ্ক কর্মী রুবি মালাকারের বাড়ি কাঞ্চন বাড়ীর মশাউলি এলাকায়৷ রুবির বক্তব্য অনুযায়ী সে দীর্ঘ ১৮ মাস থেকে ঐ এলাকা থেকে সাপ্তাহিক টাকা তুলে আনছে, এমনটা আগে কখনও হয়নি৷ তবে বাইকে থাকা তিনজন ব্যক্তি ছিল, কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি সে৷ অপরদিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ মেন্যাজার মাম্পী ধর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন এলাকার একাংশ জনগন, কিভাবে ম্যানেজার একা একটি মেয়েকে দিয়ে এতগুলি টাকা সংগ্রহ করাচ্ছেন৷ পাশাপাশি গোটা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷ তখনই আসল রহস্য উদঘাটন হবে৷ আসলে ছিনতাই না অন্যকিছু?
2017-02-25