ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা, গ্রেপ্তার দেবর ও শাশুড়ি, স্বামী পলাতক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারী৷৷ বৌদিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক রটনা করা হয়৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরতলীর পূর্ব চাম্পামুড়া এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত দেবর বিপ্লব দেবকে৷
সংবাদে প্রকাশ, মেলাঘর থানার অধীনর মোহনভোগের বাসিন্দা গৌরব ধরের মেয়ে মৌসুমী ধরের বিয়ে হয়েছিল ছয় মাস আগে পূর্ব চাম্পামুড়ার বাসিন্দা উত্তম দের ছেলে বিজন দের সাথে৷ একান্নভুক্ত পরিবারে রয়েছে মৃতার দেবরও৷ বিয়ের পর থেকেই দেবর বিপ্লব দে’র কুনজর পড়ে বৌদির উপর৷ প্রায় সময়ই বৌদির সাথে আপত্তিজনক কাজকর্ম করার চেষ্টা করত বিপ্লব৷ বিষয়টি মৌসুমী তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে বলেছিলেন৷ কিন্তু, এই বিষয়ে মৌসুমীকে বারবার সংযত থাকার জন্য উল্টো পরামর্শ দিয়েছিলেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷ এদিকে, সোমবার কোন এক সময় ঐ মৌসুমীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে দেবর বিপ্লব দেব৷ তারপর পরিবারের লোকজন মিলে গৃহবধূকে মঙ্গলবার দুপুরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় ঘরের মধ্যে৷ তারপর খবর দেওয়া হয় বোধজংনগর থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জি বি হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ বুধবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ নিকটাত্মীয়দের হাতে তুলে দিয়েছে৷ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন এই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মেলাঘর থানায়ও একটি মামলা দায়ের করেছেন৷ বোধজং নগর থানার পুলিশ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেবর বিপ্লব দে এবং শাশুড়ি উমা দে-কে৷ অন্যদিকে, স্বামী বিজন দে পালিয়ে আত্মগোপন করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহে পচন ধরে গিয়েছে৷ তাছাড়া ঘরের যেখানে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌসুমীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে ঝুলন্ত মৃতদেহের পা খাটের সাথে লাগনো৷ তাতে নিশ্চিত যে এটি আত্মহত্যা নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *