নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি৷৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণে প্রসেনজিৎ দাস নামে এক যুবককে দশ বছর সশ্রমকারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ফার্স্ট ট্রেক আদালতের বিচারক সঞ্জয় ভট্টাচার্য৷ জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ সেপ্ঢেম্বর মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলাকে নির্জনতার সুযোগে বাড়িতেই ধর্ষণ করে প্রসেনজিৎ৷ ঐ মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসতে দেখে প্রসেনজিৎ সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ সেদিনই পূর্ব মহিলা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে৷ যথা সময়ে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে পুলিশ ৩৭৬(২) এল এবং ৪৪৮ ধারায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয়৷ ঐ মহিলার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করার জন্য তিনজন চিকিৎসকের বোর্ড গঠন করেছিল আদালত৷ মামলার শুনানি শুরু হলে বাদিপক্ষের ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন৷ বিবাদি পক্ষে ৩জন সাক্ষ্য দিয়েছেন৷
মঙ্গলবার এই মামলায় রায় দেয় ফার্স্ট ট্রেক আদালত৷ বিচারক প্রসেনজিৎ দাসকে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৭৬(২) এল ধারায় দশ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে৷ অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাস কারাবাসের নির্দেশ দেন৷ ৪৪৮ ধারায় তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়৷
2017-02-08