নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ ফেব্রুয়ারি৷৷ সাধারণ বাজেটের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা এবং পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে৷ বুধবার সাধারণ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ এই বাজেটেই একত্রে ছিল রেল বাজেটও৷ বৃহস্পতিবার মহাকরণে অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহার কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী বাজেট পেশ করেছেন৷ কারণ তিনি মনে করেন, এই বাজেটে সাধারণ মানুষ কোনভাবেই উপকৃত হবেন না৷ বরং যারা অত্যাধিক আশা করেছিলেন তারা হতাশ হয়েছেন৷ একইভাবে পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে’র মতে, এবছর রেলের আলাদা কোন অস্তিত্ব রইল না৷ বরং বাজেটে ভাড়া না বাড়ালেও ঘুরপথে ভাড়া বৃদ্ধির পথ খোলা রাখল কেন্দ্রীয় সরকার৷
এদিন, অর্থমন্ত্রী বলেন বাজেটে রেগার টাকা বাড়ানো হয়েছে৷ কিন্তু সংশোধিত বাজেটে বাড়তে চলেছে রেগা শ্রমিকদের মজুরি৷ তাতে, যে টাকা বাড়ানো হয়েছে সে টাকায় কোন ভাবেই পোষাবে না৷ অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, রেগা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সাথে সাথেই কমবে শ্রমদিবস৷ কৃষি ক্ষেত্রেও তেমন কোন উপকৃত হবেন না কৃষকরা৷ গতবছরের তুলনায় এবছর বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ কম রাখা হয়েছে৷ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সুযোগের কথা বলা হয়েছে বাজেটে আদৌ কৃষকরা তাতে কতটা উপকৃত হবেন সেটা সময় এলেই বোঝা যাবে৷ শিক্ষাক্ষেত্রেও গতবছরের তুলনায় এবছর বরাদ্দ কমেছে৷ শুধুমাত্র যারা প্রত্যক্ষ কর দেন তাদের জন্য সামান্য কিছু রাখা হয়েছে বাজেটে৷ তিনি এও বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চল এবছরের বাজেটে খুব একটা উপকৃত হবে না৷ তাই যারা আশা করেছিলেন বাজেট থেকে অনেক কিছু পাবেন বলে তারা হতাশ হয়েছেন৷
এদিকে, পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে বলেন, রেল খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা কিছুই না৷ বরং রেগুলেটরি কমিশন গঠন করে আগামীদিনে সময়ে সময়ে ভাড়া বৃদ্ধির পথ খুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বাজেটে ভাড়া বাড়ানো না হলেও আগামীদিনে রেগুলেটরি কমিশনের সুপারিশে বাড়বে ভাড়া৷ এদিন তিনি আরো বলেন, রেল তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে৷ কিছু কিছু সেক্টর বেসরকারি করণের পথে এগিয়েছে৷ নিরাপত্তার বিষয়টিও বেসরকারি হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র৷ কিন্তু তাতে, কতটা লাভ হবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না৷ তাছাড়া এবছর বাজেটে নতুন কোন রেলের ঘোষণাও নেই৷ সব মিলিয়ে এবছর রেলের আলাদা কোন অস্তিত্বই রইল না৷ এদিন তিনি আরো বলেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে যে চারটি মূল বিষয় ছিল তা কৌশলে এড়িয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ বাজেট ভাষণে দূর্নীতি, কালোটাকা, সন্ত্রাসবাদ এবং জাল নোট নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷
তিনি বলেন, ধারণা করেছিলাম দিল্লি এবং কলকাতা পর্যন্ত রাজ্য থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে৷ উত্তরভারত অভিমুখে যাত্রা করার জন্য ট্রেন মিলবে৷ কিন্তু তার কোনটাই বাজেটে উল্লেখ না থাকায় খুবই হতাশ হয়েছেন বলে এদিন পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন৷
2017-02-03
