খোয়াইয়ে আক্রান্ত টমটম চালক, ক্ষোভে থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৫ জানুয়ারী৷৷ খোয়াইতে গতকাল বিকেলে এক টমটম চালককে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়৷ জনগনের মতে নাটকটির নাম – শ্যাম রাখি না কুল, অভিনয়ে অটো চালক এবং আংশিক প্রভাবশালীদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালকের ভূমিকায় খোয়াই পুলিশ ও শ্রমিক সংগঠনের ২-১ জন৷ নাটকের প্রথম অংশে রবিবার সকালে খোয়াইয়ের সমস্ত টমটম চালকরা কাজ বন্ধ রেখে পায়ে হেঁটে শ্রমিক সংগঠন অফিসে যায় এবং উনাদের খোয়াই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলা হয়৷ দ্বিতীয় অংশের দ্বিতীয় দৃশ্যে সব টমটম সুভাষপার্ক থেকে খোয়াই থানায় পায়ে হেঁটে যায় এবং উনারা জানায় খোয়াই থানাকে ১ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে৷ সেই মোতাবেক সব টমটম চালকরা খোয়াই সামনে জড়ো হন৷ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে থানায় যাওয়ার পর থানার দারোগা বাবু মোবাইল ফোনে শ্রমিক নেতৃত্বদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেন কি কিভাবে নাটকের বাকী অংশ পরিচালনা করবেন৷ টমটম চালকরা যখন থানায় প্রবেশ করে থানা বাবু জানতে চান আপনারা আগে কোন লিখিত অভিযোগ করেছেন কিনা? টমটম চালকরা জানান-না, এখন করা হবে৷ থানা বাবু জানান-অভিযোগ না করেই আপনারা এতলোক থানায় কেন? একথা শুনেই উনারা হকচকিয়ে যান এবং পরবর্তী সময় থানার পাশে শ্রমিক অফিসে অভিযোগ পত্র লেখনি নিয়ে বসেন৷ যা লিখতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লেগে যায়৷ ততক্ষনে রাগ অনেকটাই শিতল হয়ে পড়ে এবং একজন সিনিয়র নেতৃত্ব এসে থানার ভিতর থেকে সব টমটম চালকদের বের করে নিয়ে যায়৷
এই ছিল নাটকের অংশ৷ তবে মুল ঘটনার বিবরনে থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্র থেকে জানান যায়, পৌষ সংক্রান্তির দিন বিকেল আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ তিন দুসৃকতীকারীদের আক্রান্ত হয় টমটম চালক সুব্রত দেবনাথ, পিতা-সুকুমার দেবনাথ, বাড়ী অরবিন্দ পার্ক৷ তিন দুসৃকতীর মধ্যে সবাইকে সনাক্ত করেছে আক্রান্ত চালক সুব্রত দেবনাথ৷ এরা হল ১) প্রদীপ দেবনাথ (ঠিকেদার), পিতা মৃত- হরিচরন দেবনাথ, বাড়ী-চরগণকী৷ ২) হারাধন দেবনাথ (বিদ্যুৎ কর্মী) ও ৩) বিজয় ঘোষ৷ এদের সবাই চরগণকী এলাকা নিবাসী৷ টমটম নিয়ে নৃপেন চক্রবর্তী এভিন্যু চত্বরে যাওয়া মাত্রই টমটম চালককে মারধর শুরু করে৷ এই তিন যুবক মিলে সুব্রত দেবনাথকে রাস্তায় ফেলে নাকে-মুখে-বুকে ও মাথায় কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে৷ একসময় প্রচন্ড মারে অচৈতন্য হয়ে পড়ে টমটম চালক সুব্রত দেবনাথ৷ সেই সুযোগ তার গলায় স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় তিন দুসৃকতীকারী৷ ঘটনার পর গুরুতর জখম টমটম চালকের চিকিৎসা চলে খোয়াই জেলা হাসপাতাল এবং পরে জিবি হাসপাতালে৷ রবিবার সকালে তার পরিবারের তরফে দুসৃকতীকারীদের নাম-ধাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খোয়াই থানায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *