নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ স্বর্ণযুগের ত্রিপুরা রাজ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন এক নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে
দাঁড়িয়েছে তাহা আক্ষরিক অর্থেই রাজ্যে ক্রমবর্ধমান৷ রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যবাসীকে সুশাসন দেওয়ার নামে যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা প্রমাণ হয় রাজ্যের প্রভাতী দৈনিকের কাগজ খুললেই৷ যে রাজ্যের নারী ও শিশুরা নিরাপদ নয়, সেই রাজ্যের সাধারণ মানুষ কোন স্বর্ণযুগের রাজ্যে বাস করে তাহা সহজে অনুমেয়৷
গত ৬ ই সেপ্ঢেম্বর আমতলি থানার পাথরছোড়া দুরত্বে এক ১০ বছরের শিশুকন্যা যেভাবে দিনের বেলা শাসকলীয় সমর্থক দাবীদার ওএনজিসি-তে কর্মরত এক পাষন্ড প্রমোদ চন্দ্র নম, কর্তৃক শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে এবং ঘটনার পরেই এই দুর্বত্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার পরও আজ পর্যন্ত আমতলি থানার পুলিশ দুর্বত্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কোন সদর্থক উদ্যোগ গ্রহন না করায় আজ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ মহিলা কমিটির উদ্যোগে এফআইআর-এ চিহ্ণিত অপরাধীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে আমতলি থানার সামনে আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়কের উপর এক বিক্ষোভ ও ধর্ণা কর্মসূচী প্রদর্শন করে৷ এই সময় মহিলা মোর্চার পক্ষে মোর্চার সভানেত্রী দীপা ভট্টাচার্য্য, সহ-সভানেত্রী সাধনা চৌধুরী, সদর জেলা সভানেত্রী দীপু রায় চৌধুরী, সহ-সভানেত্রী শিল্পী বর্ধন ও পিংকি ঘোষ এবং সিপাহীজলার সভানেত্রী শ্রীমতি রুকিয়া বেগম স্থানীয় এসডিপিও এবং ভারপ্রাপ্ত কার্যকারকের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে মিলিত হন৷ সাক্ষাতকারের সময় এসডিপিও সুদীপ কুমার পাল প্রতিনিধি দলকে পুলিশের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষৃকতকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ ও ধর্ণা কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হয়৷
উল্লেখ্য যে রাজ্যে প্রতিদিন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও সিপিআই(এম) আশ্রিত রাজ্য মহিলা কমিশন ও বামফ্রন্টের নারী নেত্রীরা এই ব্যাপারে সন্দেহজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করে থাকেন এবং মাঠে ঘাটে দলীয় সভায় এই রাজ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের কোন ঘটনায়ই ঘটেনা বলে দাবী করতে লজ্জাবোধ করে না৷
2016-09-09

