BRAKING NEWS

কমলপুরে সিট্যুভূক্ত যান চালকদের হামলার শিকার জওয়ান ও তার পরিবার

attackkkkনিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২৬ মে৷৷ সাত সকালে যাত্রীদের উপর আচমকা হামলা চালায় বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেন যাত্রীরা৷ কমলপুর সি আই টি ইউ অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে৷ যদিও পরে তড়িঘড়ি ভাবে ঘটনার ধামাচাপা দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে৷ এবং যাত্রীদের কাছে ভূল শিকার করানো হয় বাহুবলি ক্যাডার বাহিনী ওদের দায়িত্ব থাকা নেতা বাবুরা৷ এই ঘঠনা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছে৷ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ৷
ঘটনা আজ ২৫শে মে সকাল সাতটা নাগাদ কমলপুর বাস টার্মিনালে এসে আগরতলায় যাওয়ার জন্য একটি বাসের মধ্যে টিকেট কাটেন কমলপুর মহকুমার ছোট সুরমা গ্রামের বাসিন্দা তথা দশম ব্যাটেলিয়ানের কর্মরত টি এসআর জওয়ন পরেশ নায়েক ও তার পরিবার৷ তখন দেখা যায় শ্রমিকদের মিটিং আছে বলে কিছু গাড়ী ছাড়া সব কয়টি গাড়ী বন্ধ হয়ে আছে৷ তখন পরেশ নায়েক কাউন্টার গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন কখন কোন সময় গাড়ী ছাড়া হবে৷ তখন তাদের মধ্যে অল্পবিস্তর কথা কাঁটাকাঁটি হয়৷ হঠাৎ করে কয়েকজন শ্রমিক সংগঠনের বেশ কিছু বাহুবলি ক্যাডার এসে পরেশ নায়েক সহ তার ছেলেকে মারধর করতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কমলপুর থানায় ঘটনা তডিঘড়ি ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ক্যাডারদের হাত থেকে রক্ষা করে পরেশ নায়েক ও তার পরিবারকে৷ পরে সিটুর পক্ষ থেকে উভয় পক্ষদের নিয়ে একটি বিচার সভা হয়৷ সভা আক্রান্ত পরেশ নায়েক ও তার পরিবারের কাছে ভূল শিকার করানো হয় ক্যাডারদের৷ এবং ঘটনার ধামাচাপাও দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে জানায় আক্রান্ত পরেশ নায়েকের পরিবার৷ এখন প্রশ্ণ হল একের পর এক ঘটনা করবে শ্রমিকরা যাত্রীদের উপর অমানবিক অন্যায় অত্যাচার, দাদাগিরি করে সংগঠনের দাপটে বার বার পার পেয়ে যাবে সেটা কি করে সম্ভব৷ আজ কোথায় যাত্রীদের নিরাপত্তা সেটা নিয়ে চলছে মহকুমা জুড়ে গুণজন৷
এই বিষয়ে আক্রান্ত পরেশ নায়েকের স্ত্রী জানায় টিকেট ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বললে তখন কাউন্টার মাস্টার তাতে রাজী হয়নি৷ তখন কিছু সিট্যু অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার বাহিনী এসে আচমকা মারধর করতে থাকে৷ তার স্বামী পরেশ নায়েককে৷ তখন পরেশকে বাঁচাতে আসে তার ছেলে বাবা কে রক্ষা করার জন্য৷ সঙ্গে সঙ্গে বাবা ছেলে উভয়কে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন পরেশের স্ত্রী৷ যদিও পরে তাদের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে ভূল শিকার করানো হয় বলে জানান তার স্ত্রী৷ পরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে গেলে টি এম এস ইউ দায়িত্বে থাকা সম্পাদক প্রিয়লাল দেবনাথ বলে ঘটনা হয়েছে৷ তবে মারধর করা হয়নি৷ তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করা হয়৷ এবং আক্রান্তদের কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *