
নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৩ মে৷৷ তেলিয়ামুড়ার হদ্রাইয়ের দার্জিলিং টিলার জুলি জমাতিয়া হত্যাকান্ডে আরও পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তাদের কাছ থেকে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ জুলি জমাতিয়াকে হত্যার পর মৃতদেহে ঐ পাঁচ কিশোর তাদের যৌন চাহিদা তৃপ্তি করেছে৷ জুলির মৃতদেহে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এই বর্বরোচিত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনমনে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে৷
শনিবার তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ যে পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে তারা হল শুধরাই জমাতিয়া, বিনয় জমাতিয়া, থাইলেন জমাতিয়া, বিরলা জমাতিয়া এবং শাফলা জমাতিয়া৷ প্রত্যেকের বয়স ১৭ বছর৷ এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে৷ পরে খোয়াই কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু, কোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোয়াইয়ে তাদের লকআপে রাখা হয়েছে৷
এই হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত খাকথাং মুন্ডা পুলিশের জেরায় জানিয়েছে, ধৃত এই পাঁচ কিশোর ঐরাতে তার সাথে ছিল৷ জুলিকে মাথায় আঘাত করে ধর্ষণের পর খাকথাং জুলিকে হত্যা করে৷ পরে ঐ পাঁচ কিশোর জুলির মৃতদেহে ধর্ষণ করে যৌন লালসা চরিতার্থ করে৷
প্রসঙ্গত, এই হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে ত্রিকোণ প্রেম৷ জুলিকে খাকচাং মুন্ডা নামে এক যুবক প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিল৷ এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় জুলি৷ থাইলান জমাতিয়া নামে এক কিশোরের সাথে জুলির প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল৷ প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় খাকচাং মুন্ডা ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে জুলিকে শেষ করে দেওয়ার৷ সেই মোতাবেক জুলির বান্ধবী করিণা জমাতিয়া সহ আরও পাঁচজনকে তার সাথে নেয়৷ করিণা ঐদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ জুলিকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে ফুসলিয়ে৷ তারপর তারা দার্জিলিং টিলা থেকে দুস্কি বাজারে গিয়ে সেখান থেকে ডেনড্রাইট ও কলা কিনে৷ তারপর দার্জিলিং টিলার শ্মশান সংলগ্ণ এলাকায় সবাই মিলে নেশা করে৷ নেশায় বঁুদ হয়ে একসময় খাকচাং মুন্ডা জুলি জমাতিয়ার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে৷ তারপর তাকে টেনে নিয়ে যায় পাশের ক্ষেতে৷ সেখানে সবাই খাকচাং ও তার সাকরেদরা গণধর্ষণ করে জুলিকে হত্যা করে৷ শুক্রবার খাকচাং এবং করিনাকে পুলিশ আদালতে তোলে৷ আদালত করিণাকে জুভেইনাল হোমে পাঠায়৷ অন্যদিকে খাকচাংকে রিমান্ডে পাঠায়৷ পুলিশের জেরায় খাকচাং গোটা ঘটনা সবিস্তারে জানিয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গিয়েছে৷