বিশেষ প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ২২ এপ্রিল৷৷ বেআইনী ভাবে মজুত রাখা বিস্তর পরিমাণে ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ ঘটনা উত্তর জেলার ত্রিপুুরা মিজোরাম সীমান্তের আনন্দবাজারে৷ ঐ বাজারের একটি দোকান ও পাশের গুদামে তল্লাসী চালিয়ে ড্রাগ ইনস্পেক্টর সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারীকরা প্রায় সাত লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে শুক্রবার৷ তবে পুলিশের খামখেয়ালীপনায় ঐ দোকানের মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি৷
সংবাদে প্রকাশ, আনন্দবাজারে কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়া বেআইনীভাবে ওষুধের ব্যবসা করছিল দালাম রিয়াং৷ শ্রী রিয়াং মূলত মিজোরামের বাসিন্দা৷ সেখানে থেকে আনন্দবাজারে এসে দীর্ঘদিন ধরেই লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের দোকান খুলে ব্যবসা করে যাচ্ছিল৷ এই বিষয়ে ড্রাগ ইনস্পেক্টরদের কাছে খবর ছিল৷ সমস্ত ধরনের প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে এদিন কাঞ্চনপুর থেকে ড্রাগ ইনস্পেক্টর সহ অন্যান্য আধিকারীকরা আনন্দবাজারে যায় সকালের দিকে৷ সেখানে গিয়ে আনন্দবাজার থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে৷ তারপর দোকানে হানা দেওয়া হয়৷ ড্রাগ ইনস্পেক্টর আনন্দবাজার থানার পুলিশকে আগেই বলেছিলেন যাতে ওই দোকানের মালিককে জালে তোলা হয়৷ কিন্তু, পুলিশের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে অভিযান চালানোর সাথে সাথেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয় দালাম রিয়াং৷ ঐ দোকান ও পাশের গোদামে তল্লাসী চালিয়ে প্রায় সাত লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ বাজেয়াপ্ত করা ওষুধের মধ্যে ভিটামিন সিরপা যেমন রয়েছে তেমনি কিছু নেশার সিরাপও রয়েছে৷ ড্রাগ ইনস্পেক্টররা বাজেয়াপ্ত করা ওষুধ নিজেদের গাড়িতে লোড করার পাশাপাশি আনন্দবাজার থেকে দুটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে কাঞ্চনপুরে৷ আনন্দবাজার থানায় এতোটা জায়গা ছিলনা যে সেগুলি রাখা যায়৷ তাই বাধ্য হয়ে কাঞ্চনপুর থানার লকআপে এনে মজুত করা হয়েছে বাজেয়াপ্ত করা ওষুধ৷
এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার বাজারগুলিতে বেআইনীভাবে প্রচুর সংখ্যায় ওষুধের দোকান খোলা হয়েছে৷ সেগুলিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের পাশাপাশি ট্যাক্স ছাড়া ওষুধ মজুত ও বিক্রি করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷ আর এই সব ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করে বহু লোকের অকাল মৃত্যু ঘটছে৷
2016-04-23