BRAKING NEWS

রাজ্যেও সিভিল সার্ভিস দিবস পালিত, সুশাসনের লক্ষ্যে দায়বদ্ধতায় গুরুত্ব

CSDনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল৷৷ সুশাসন আনতে গেলে দায়বদ্ধতার পাশাপাশি দক্ষতার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে৷ পাশাপাশি সময়ের কাজ ফেলে রাখা কোনভাবেই চলবে না৷ বৃহস্পতিবার সিভিল সার্ভিসের অনুষ্ঠান মঞ্চে বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যে দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতা মেনে চলার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে৷ শুধু তাই নয়, গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে আলাদা কিছু করে দেখানোরও আওয়াজ উঠেছে৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যে সারা দেশের সাথে সিভিল সার্ভিস দিবসটি পালিত হয়েছে৷ মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে৷ সেখানে টিসিএস, টিপিএস এবং আইপিএস ও আইএএস অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন৷ বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব যশপাল সিং, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক কে নাগরাজ, পিসিসিএফ সনাতন তালুকদার এবং সিপার্ডের অধিকর্তা বি কে সাহু৷
এদিন, সিভিল সার্ভিস দিবসে মহাত্ম্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বক্তারা একদিকে যেমন গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে আলাদা কিছু করে দেখানোর জন্য আওয়াজ উঠেছে৷ তেমনি অধিকাংশ বক্তারাই দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বজায় রেখে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন৷ এদিন, উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আত্মত্যাগ করার মতো কাজে যুক্ত থাকাটা একটা গর্বের বিষয়৷ এই বিষয়টা আমাদের সবার মধ্যেই উপলদ্ধির মধ্যে থাকতে হবে৷ তিনি বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশের সার্বিক বিকাশ হচ্ছেনা৷ আত্ম কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনার জন্যই দেশের অসম বিকাশ হচ্ছে৷ এর থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে দেশ ও সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, এখানে সিভিলি সার্ভিসের সাথে যুক্তদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ প্রশাসনিক যে পরিকাঠামো রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও সমাজের জন্য এবং জনগণের আশা আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে তাদের ভূমিকা নিতে হবে৷ প্রশাসনকে জনমুখী করতে হবে আরও বেশী করে৷ তিনি বনে, আমাদের রাজ্যের উন্নয়ন -অগ্রগতি ও রাজ্যকে প্রগতির পথে নিয়ে যেতে তাদের যে একটা ভূমিকা রয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই, আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই৷ তাই এমন দিনে সিভিল সার্ভিসের সাথে যুক্তদের আত্ম পর্যলোচনা করে নিজেদের আরও বেশী করে আত্মনিয়োগ করতে হবে উন্নয়ন কর্মসূচী রূপায়নে৷ তিনি বলেন, আপনাদের সাথে নিয়েই রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি দৃঢ় করা সম্ভব হয়েছে৷ রাজ্যসরকারের সৃষ্টি ভঙ্গি হচ্ছে নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঘোষিত কর্মসূচীর কাজ শেষ করতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *