নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ পূর্ব ডুকলির জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ তারা হল রূপন দাস ও প্রসেনজিৎ পাল৷ আরো একজনকে খঁুজছে পুলিশ৷ তার নাম গোপাল দাস৷ সে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা৷ নিহত গৌরী চক্রবর্তীর জামাতা সত্যব্রত চক্রবর্তীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ সম্পত্তির লোভেই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে ধৃত রূপন দাস ও প্রসেনজিৎ পাল হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার বিজয় নাগের নেতৃত্বে পুলিশ আটক দুজনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব ডুকলিতে যায়৷ তারা দুজন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করার পাশাপাশি কিভাবে হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে তাও দেখায়৷ স্বাভাবিক কারণেই হত্যাকান্ডে যে তারা যুক্ত তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ দুজনকেই জোরদার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ৷ এই হত্যাকান্ডে জড়িত আরো কয়েকজনকে আটক করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের পুরোহিত দুলাল চক্রবর্তীর স্ত্রী ও পুত্রকে নৃশংসভাবে খুন করে আঁততায়ীরা৷ এরপর থেকেই খুনীদের আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়৷ তৎপরতা চালিয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সাফল্যও পেয়েছে৷ সে অনুযায়ী ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও গৃহীত হয়েছে৷ হত্যাকান্ডকে ঘিরে এলাকায় এখনো তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ স্থানীয় জনগণ বরাবরই বলে আসছেন নিহত গৌরী চক্রবর্তী ও তার ছেলে দেবব্রত চক্রবর্তী দুজনই খুব ভালো মানুষ ছিলেন৷ কারোর সঙ্গে তাদের ঝগড়াঝাঁটি ছিল না৷ স্বাভাবিক কারণেই তাদেরকে খুন করার পর খুনের রহস্য নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দেয়৷ পুলিশ অবশ্য শীঘ্রই এই হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে৷
2016-02-12

