BRAKING NEWS

পাকিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি-বোমা, নিহত চল্লিশ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে খতম ছয় জঙ্গী

muder photoপোশায়ার, ২০ জানুয়ারি ৷৷ উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের পেশোয়ারের কাছে চারসাদ্দায় বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও জঙ্গিদের গুলিতে এখনও পর্যন্ত ৪০ পড়ুয়াসহ অধ্যাপকের মৃতুয হয়েছে৷ আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন৷ বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করা হয়েছে বলে খবর পাক সেনা সূত্রে৷ সূত্রের খবর, ৬০-৭০ জন পড়ুয়াকে দাঁড় করিয়ে মাথায় গুলি করে জঙ্গিরা৷ পাল্টা গুলিতে ছয় জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পাক ডিআইজি-র৷ উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনা হেলিকপ্ঢার৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক -ই -তালিবান৷ ২০১২ সালে আব্দুল গফফর খানের স্মৃতিতে তাঁর নামেই তৈরি হয় পেশোয়ারের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়৷ উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়ন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনহাজার৷
পাক বিদ্যালয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ পাক প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতী দিয়ে বলেছেন, যারা নিরীহ ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, তাদের কোনও ধর্ম হয় না৷ কোন দেশও নেই তাদের৷ পাকিস্তানের আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না৷
ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত হল উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানের বাচা খান বিশ্ববিদ্যলয়৷ বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হঠাতই হামলা চালায় বন্দুকবাজেরা৷ মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া হয়৷ শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দও৷ এলোপাথারি সেই গুলিতে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন ছাত্র, শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সাঈদ ওয়াজির জানিয়েছেন, জঙ্গিদের নিকেশ করতে আসরে নামে সেনা৷ প্রায় ঘণ্টা চারেকের এই অভিযানে সেনা জওয়ানরা নিকেশ করতে পেরেছেন ৪ জঙ্গিকে৷ ছাত্রদের মাথা লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা৷ ৬০-৭০ জন ছাত্রের মাথায় গুলি লেগেছে৷ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ আহত বহু৷ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ জঙ্গিদের গুলিতে রসায়নের এক অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক ই তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী৷ প্রাথমিকভাবে পাক পুলিশ জানিয়েছে, পেশেয়ারের মিলিটারি সুকলের ধাঁচে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে৷ সম্ভবত ১০ জন জঙ্গি ঢুকে পড়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী ছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ ৬০০ বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ যার নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়, বুধবার সেই বাচ্চা খানের মৃত্যু বার্ষিকী৷ সেই উপলক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এক স্মরণ অনুষ্ঠানের৷ সবে কবিতা অনুষ্ঠানের মুশাইরা শুরু হয়েছে৷ হঠাতই গুলির শব্দ৷ ছুটে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি৷ ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সাঈদ ওয়াজির জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অভিযান চালানো হয়৷ প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী মুখে কালো কাপড় ঢেকে কয়েকজন জঙ্গি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ একই সঙ্গে ফাটাতে থাকে গ্রেনেড৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যারা নিরীহ ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, তাদের কোনোও ধর্ম নেই, কোনও দেশ নেই৷ পাকিস্তানের আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *