BRAKING NEWS

ধর্ষণের পর নাবালিকা হত্যা, গৃহবধূর ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জানুয়ারি৷৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বীরচন্দ্র মনুর তাকমাছড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ এক নাবালিকার পচাগলা মৃতদেহ বুধবার উদ্ধার হয়েছে৷ অপরদিকে, একই থানা এলাকার বীরচন্দ্র মনুর রাজাপুর এলাকায় এক গৃহবধূকে পণের দায়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে৷ মৃত গৃহবধূর নাম সঙ্গীতা দাসপাল (৩০)৷ স্বামীর নাম স্বদেশ পাল৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজাপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ পুলিশ মৃতার স্বামী স্বদেশ পালকে আটক করেছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ৷ একই থানা এলাকার দুটি মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা গেছে, শান্তিরবাজার থানাধীন বীরচন্দ্র মনুর তাকমাছড়া এলাকার তের বছরের এক নাবালিকা গত দশদিন ধরে নিখোঁজ ছিল৷ এব্যাপারে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷ তাকে কোথাও খঁুজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷ বুধবার স্থানীয় একটি জলাশয়ে নিখোঁজ নাবালিকাটির পচাগলা মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া শান্তিরবাজার থানায়৷ পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঐ নাবালিকাকে ধর্ষণ শেষে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাকে হত্যা করে মৃতদেহটি জলাশয়ে ফেলা দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ এব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে৷ এলাকাবাসীর অভিমত, পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে এই ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটিত হবে৷ এদিকে, একই থানা এলাকার বীরচন্দ্র মনুর রাজাপুর বুধবার দুপুর নাগাদ সঙ্গীতা দাসপাল নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ জানা যায়, সঙ্গীতার বাপের বাড়ি সাব্রুমের দমদমা এলাকায়৷ সামাজিক প্রথাতেই রাজাপুর এলাকার স্বদেশ পালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল৷ বিয়েতে পাত্র পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী যাবতীয় জিনিসপত্র এবং নগদ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বিয়ের ছ’মাস কাটতে না কাটতেই দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয়৷
গৃহবধূ সঙ্গীতাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য স্বামী শাশুড়ি সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা ক্রমাগত নির্যাতন শুরু করেন৷ তাদের দুটি শিশু সন্তানও রয়েছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই গৃহবধূ হয়তো ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে নয়তো তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এদিকে, মৃতার স্বামী স্বদেশ পালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে৷ পণের দায়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রেও সঠিক তদন্ত হলে মৃত্যু রহস উদঘাটিত হবে বলে এলাকাবাসীর অভিমত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *