আগরতলা, ১৬ মে (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আবারও রেকর্ড সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭৬১ জন নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই নমুনা পরীক্ষায় সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণে সংক্রামিতর হার বেড়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্ত, ফের ১০ জনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে। কারণ, প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ন গোটা রাজ্য। এরমধ্যে ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের মৃত্যু করোনা-র বিভীষিকাময় রূপ ফুটিয়ে তুলেছে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ২৯২ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন। যা করোনা-র দ্বিতীয় ঢেউ-এ ২৪ ঘন্টায় সুস্থতায় সর্বোচ্চ। তবে চিন্তা রীতিমত বাড়িয়ে রেখেছে, নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪৬ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন। তাতে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আবারও সংক্রমণ-এ শীর্ষস্থানে রয়েছে। অবশ্য, গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাও সংক্রমনে শতক পার করেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৪৫৬১ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটি-পিসিআর ১৩৯৫ এবং র্যাপিড এন্টিজেনের মাধ্যমে ৬২২৯ জন মোট ৭৬২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআর ১১৩ জন এবং র্যাপিড এন্টিজেন-এ ৬৪৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৭৬১ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে।
তবে, সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২৯২ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪৫৬১ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৪০৮১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫৭৫৬ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৫.১৭ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৭.৭৩ শতাংশ। এদিকে মৃতের হার ১.০৭ শতাংশ। নতুন করে ১০ জনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪৩৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতর-র মিডিয়া বুলেটিন-এ আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ৪৪৬ জন, দক্ষিন জেলায় ১০৩ জন, গোমতি জেলায় ২৪ জন, ধলাই জেলায় ৮ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৫২ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫৪ জন, উনকোটি জেলায় ৬০ জন এবং খোয়াই জেলায় ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে, দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।