রাজ্যের কিছু পিএসইউ সংস্থা লাভের মুখ দেখছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে বর্তমানে মোট ৩১টি পাবলিক সেক্টর আণ্ডারটেকিং সংস্থা রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে এই সংস্থাগুলি সঠিক দিশায় চলছে৷ এগুলির মধ্যে অধিকাংশ আজ লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান৷


তিনি এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ত্রিপুরা হর্টিকালচার কর্পোরেশন লিমিটেড ২০০৫-০৬ অর্থবছরে লোকসানে চলছিল৷ বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় এসে মাত্র ২ বছরে এই সংস্থাকে লাভজনক সংস্থায় পরিণত করেছে৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সংস্থার লাভ এসে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা৷ ১৯৯২-৯৩ অর্থবর্ষে এই সংস্থার মাত্র ৮ লক্ষ টাকা লাভ ছিল৷ আর কোন সময় লাভ ছিল না৷ বর্তমানে এই সংস্থায় যে সব কর্মচারি ২০ হাজার টাকার নিচে বেতন পান (৬০ জন) তাদেরকে বোনাস দেওয়া হয়েছে৷ বর্তমানে এই সংস্থায় ৭১ জন কর্মচারি রয়েছেন৷ ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে লাভ পায় ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা৷ ২০১৭-১৮তে ৫ কোটি ৭২ লক্ষ, ২০১৮-১৯তে ৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লাভ হয়৷ কিন্তু ২০১৯-২০ এ লাভ পায় ৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা৷ এই সংস্থায় ৪৮ জন কর্মচারি রয়েছেন৷


সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ২ কোটি ৬৮ লক্ষ, ২০১৭-১৮ তে ৩ কোটি ২০ লক্ষ, ২০১৮-১৯তে ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা লাভ পায়৷ কিন্তু ২০১৯-২০ এ লাভ করে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা৷ কর্মচারি রয়েছেন ১১২ জন৷ ত্রিপুরা আরবান ট্রেন্সপোর্ট কোম্পানী লিমিটেড ২০১৮-১৯ এ ২৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ এ ৩৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা লাভ পায়৷ এই সংস্থার মোট ৩০টি গাড়ি ৫টি রোড-এ চলাচল করে৷ ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৯৫ লক্ষ টাকা, ২০১৭-১৮ তে ৬৫ লক্ষ টাকা, ২০১৮-১৯ এ ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা এবং ২০১৯-২০ এ ২ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা লাভ করে৷ এই নিগমের অধীনে ৩টি চা বাগান আছে৷ ফ্যাক্টরী আছে বক্ষকুণ্ড ও দুর্গাবাড়িতে৷ তিনি জানান তবে ত্রিপুরা ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম লিমিটেড লোকসানে চলছে৷ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এই সংস্থার লোকসানের পরিমাণ ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা, ২০১৮-১৯ এ ৭ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা রয়েছে৷ ২০১৯-২০ এ নামিয়ে আনা হয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা৷ কর্মচারি রয়েছেন ১০০ জন৷


শিক্ষামন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকারু উন্নয়ন নিগমও লোকসানে চলছে৷ ২০১৫-১৬ তে লোকসান হয়েছে ১০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা, ২০১৬-১৭ তে ১২ কোটি ১৭ লক্ষ, ২০১৭-১৮ তে ১২ কোটি ১৫ লক্ষ, ২০১৮-১৯ এ ৮ কোটি ৩ লক্ষ টাকা এবং ২০১৯-২০ এ ৯ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে৷ মোট কর্মচারি রয়েছেন ২০৩ জন৷ ত্রিপুরা জট মিলও লোকসানে চলছে৷ ২০১৮-১৯ এ ৩৬ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা লোকসান হয়৷ ২০১৯-২০ এ নামিয়ে আনা হয় ৩১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা৷ মোট কর্মচারি রয়েছেন ২৪২ জন৷ ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লোকসান ছিল ৩৬ লক্ষ ২১ হাজার টাকা৷ ২০১৮-১৯ এ দাঁড়িয়েছে ২৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা৷ কর্মী সংখ্যা রয়েছেন ২০৭ জন৷ ১৪টি রাস্তায় এই নিগমের গাড়ি চলাচল করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *